বারাকপুরের সব পুরসভায় স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড বিলি শুরু, খুশি স্থানীয়রা
শুধু ঘোষণা নয়। আবেদনের মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যেই বারাকপুর মহকুমার সমস্ত পুরসভায় স্বাস্থ্যসাথীর নতুন কার্ড বিলি শুরু হয়ে গেল। ‘দুয়ার সরকার’ (Duare Sarkar) কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদেরকেই সিরিয়াল অনুযায়ী কার্ড দেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরসভাগুলিকে স্মার্টকার্ড প্রিন্টিং মেশিনও দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই প্রিন্ট করে আবেদনকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এমনকী, কার্ড সংগ্রহ জন্য আবেদনকারীদের মোবাইলে চলে যাচ্ছে এসএমএসও। ‘হাতে গরম’ কার্ড পেয়ে মুখে হাসি ফুটছে আবেদনকারীদের। তাঁরা সকলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কুর্নিশ জানিয়েছেন।
রাজ্যের প্রতিটি মানুষকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের (Swasthya Sathi Scheme) আওতায় নিয়ে আসার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য গত ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। স্বাস্থ্যসাথী সহ রাজ্যের ১০টি প্রকল্পের আবেদন সংগ্রহ করা হচ্ছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়ছে এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে। ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের কর্মসূচি শেষ হয়েছে। গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মসূচি। চলছে আবেদন সংগ্রহের কাজ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ১১ ডিসেম্বর বারাকপুর মহকুমায় দু’লক্ষ ২১ হাজার মানুষ দুয়ার সরকার ক্যাম্পে হাজির হয়েছিলেন।
তার মধ্যে প্রায় দু’লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে স্বাস্থ্যসাথীতে। বাকি অন্যান্য প্রকল্পে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্রুত মানুষের হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দেওয়ার জন্যই প্রতিটি পুরসভাকে স্মার্টকার্ড (Smart Card) প্রিন্টিং মেশিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ ব্যাপারে সপ্তাহখানেক আগেই বারাসতে জেলাশাসকের অফিসে একটি বৈঠকও হয়। তারপরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরসভাগুলিতে ওই মেশিন বসানো হয়েছে। বারাকপুরের মহকুমাশাসক অভ্র অধিকারী বলেন, স্বাস্থ্যসাথীতে আবেদনের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রথম পর্যায়ের প্রায় দু’লক্ষ আবেদনের মধ্যে এক লক্ষ ৫৫ হাজার ৪২৭টি আবেদনের ডেটা এন্ট্রিও করা হয়ে গিয়েছে।
প্রতিটি পুরসভায় স্মার্টকার্ড প্রিন্টিং মেশিন বসানো হয়েছে। কার্ড বিলিও শুরু হয়েছে। পর্যাক্রমে দেওয়া হচ্ছে। বারাকপুর, খড়দহ প্রভৃতি পুরসভায় মঙ্গলবার থেকে কার্ড দেওয়া হচ্ছে। নৈহাটি পুরসভার পুর প্রশাসক অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রীর যুগান্তকারী ঘোষণা। দুয়ারের সরকারের প্রথম পর্যায়ে আমাদের পুরসভায় বিভিন্ন প্রকল্পে মোট ৯৩৭৮টি আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে স্বাস্থ্যসাথীর আবেদনই ৮৩০৩।
সিরিয়াল অনুযায়ী, সোমবার থেকে পুরসভাতেই কার্ড প্রিন্ট করে আমরা আবেদনকারীদের দেওয়া শুরু করেছি। কামারহাটিতে বুধবার থেকে কার্ড দেওয়া শুরু হয়েছে। পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য (স্বাস্থ্য) বিমল সাহা বলেন, সব মিলিয়ে আমাদের মোট সাড়ে ২৮ হাজার মোট আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে ২৬ হাজার ৫৬১টি আবেদন স্বাস্থ্যসাথীর। বাকি ২১৪২টি অন্যান্য প্রকল্পে। বুধবার ১০৬৭ জনের হাতে কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে।