স্টাইলিশ ফ্যাশনে বাজিমাত শীত
শীতে এখন ছেলেরা জ্যাকেটই বেশি পরে। অনেকে সোয়েটার, ব্লেজার ও কোটও পরে। অবশ্য কোটটা একটু বেশিই ফরমাল হয়ে যায়। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় বা পরিবারের সঙ্গে ঘোরাঘুরিতে ক্যাজুয়াল পোশাকই সবার পছন্দ। সেটা মাথায় রেখে এখন ছেলেদের বেশির ভাগ শীতের পোশাক ডিজাইন করা হয়।
রঙের ক্ষেত্রে ছেলেরা সাধারণত গাঢ় রংই বেশি পছন্দ করে। জ্যাকেট, ব্লেজার, সোয়েটার ও কোটের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয় না। কালো, নীল, খয়েরি, মেরুনের মতো রংগুলোই থাকে পছন্দের শীর্ষে। তবে ইদানীং ছেলেরাও নানা ফ্যান্সি রঙের পোশাক পরছেন। অনেকেই বেছে নিচ্ছেন অলিভ, কমলা, হলুদের মতো রং। আবার শার্ট ও টি-শার্ট পরা যেতে পারে যেকোনো রঙের। অবশ্য শার্টের ক্ষেত্রে হালকা রংই বেশি পরা হয়।
জ্যাকেট
শীতের পোশাকের মধ্যে ইদানীং জ্যাকেটই চলছে সবচেয়ে বেশি। বানানো হচ্ছে চামড়া, জিন্সের কাপড়, সিনথেটিক চামড়া, ডেনিম, ফ্লানেল, কর্ড, উল, রেক্সিন, ক্যানভাসের কাপড়, প্যারাসুটের কাপড়, গ্যাবার্ডিন ইত্যাদি দিয়ে। তবে চল বেশি চামড়া, ডেনিম ও জিন্সের কাপড়ের জ্যাকেট। সামনের দিকে বোতামের বদলে চেইনের ব্যবহারই বেশি। তবে বোতাম লাগানো জ্যাকেটও পাওয়া যায়। ফুলস্লিভ আর স্লিভলেস—পাওয়া যায় দুই ধরনেরই।
ইদানীং বাড়ছে ফ্যান্সি রঙের জ্যাকেটের চল। পাশাপাশি অফিসে ফরমাল ড্রেসের ওপর জ্যাকেট পরাও দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। জ্যাকেট পরা যেতে পারে ফরমাল ও ক্যাজুয়াল—দুই ধরনের পোশাকের সঙ্গেই। নিচে শার্ট বা টি-শার্ট দুটোই পরা যায়। এর সঙ্গে জিন্সের প্যান্টই বেশি চলে। পায়ে কেডস।
ব্লেজার
ফরমালের চেয়ে ইদানীং ক্যাজুয়াল ব্লেজারই চলছে বেশি। বিশেষ করে ক্যাজুয়াল পোশাকের সঙ্গে ব্লেজার পরলে লুকটা অনেকখানি ফরমাল হয়ে যায়। তাই অনেকেই অফিসে বা অন্যান্য কাজে যাওয়ার সময় এটা পরছেন। ফরমাল ও ক্যাজুয়াল দুই ধরনের পোশাকের সঙ্গেই সমান মানানসই বলে অনেকেই শীতে ব্লেজার কিনছেন। পায়ে থাকতে পারে কেডস বা জুতার যেকোনোটা।
কোট
কোট পুরোদস্তুর ফরমাল পোশাক। তাই সঙ্গে পরতে হয় ফরমাল শার্ট, প্যান্ট ও জুতা। সাধারণত অফিস, গুরুত্বপূর্ণ মিটিং বা বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়া এখন আর কোট তেমন একটা পরা হয় না। তবে ইদানীং ক্যাজুয়াল কোটও পাওয়া যাচ্ছে।
সোয়েটার
সাধারণত উলের সোয়েটারই পরা হয়। ফরমাল ও ক্যাজুয়াল দুই ধরনের পোশাকের সঙ্গেই পরা যায়। ইদানীং অবশ্য এর ব্যবহার অনেকটাই কমে গেছে। সোয়েটারের জায়গা নিয়েছে জ্যাকেট। এখন সোয়েটারে স্ট্রাইপের নকশা চলছে বেশি। শার্ট বা টি-শার্ট যেকোনোটার সঙ্গেই পরা যেতে পারে। পায়ে কেডস বা জুতা।
ফুলস্লিভ শার্ট ও টি-শার্ট
জ্যাকেট, সোয়েটার, স্যুট, কোট—ওপরে যেটাই চাপানো হোক না কেন, শীতে সাধারণত সবাই সেসবের নিচে ফুলস্লিভ জামা পরেন। সেটা শার্টও হতে পারে, আবার টি-শার্টও হতে পারে। অল্প শীত থাকলে স্রেফ ফুলস্লিভ শার্ট বা টি-শার্ট পরলেও চলে। আবার বেশি শীতে ওপরে অন্য কিছু না পরে শার্টের নিচে একটা টি-শার্ট পরে নিতে পারেন।
সাধারণত ফুলস্লিভ টি-শার্টের চেয়ে শার্টই সবাই পছন্দ করেন বেশি। অনেকেই অফিস বা কাজে গেলে শার্ট আর আড্ডা-ঘোরাঘুরিতে টি-শার্ট পরে থাকেন। তবে এ নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এখন অনেকে অফিসেও টি-শার্ট পরে যান। আবার অনেকে আড্ডা আর ঘোরাঘুরিতেও শার্ট পরেন। সম্প্রতি ছেলেদের মধ্যে সোয়েট শার্ট পরার চলও শুরু হয়েছে।
হুডি
মাঝে ছেলেদের হুডির চল খুব বেড়েছিল। এখনো শীতে অনেকেই বেছে নেন হুডি। বিশেষ করে যাঁরা আলাদা করে টুপি পরতে চান না, তাঁদের জন্য এটা বেশ উপযোগী। ফুলস্লিভ ও স্লিভলেস—দুই ধরনের হুডি জ্যাকেটই চলছে। পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে হুডি ব্লেজার, সোয়েটার, এমনকি শার্ট, টি-শার্টও। ইদানীং কিছু হুডি এসেছে, যেগুলোর হুড খুলেও রাখা যায়। মানে হুডসহ ও হুড ছাড়া দুভাবেই পরা যায়। এ ধরনের শার্ট ও টি-শার্ট হুড খুলে পরা যাবে শীতের পরও। হুডি জ্যাকেট পরা যেতে পারে ডেনিম বা গ্যাবার্ডিন প্যান্টের সঙ্গে। পায়ে কেডসই মানাবে ভালো।