কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

বাংলার প্রতি অবিচার, বিরোধী মহামঞ্চ চেয়ে মমতার পাশে শারদও

December 18, 2020 | 2 min read

গেরুয়া আগ্রাসনের কবল থেকে মমতার বাংলাকে বাঁচাতে এবার একজোট হচ্ছে জাতীয় স্তরের বিরোধীরা। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যেভাবে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং তাঁর দল তৃণমূলকে নানাভাবে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে, তাতেই বিচলিত অবিজেপি শীর্ষ নেতারা। বাংলার ‘গেরুয়াকরণ’ ঠেকাতে যে কোনও মূল্যে মমতার হাত শক্ত করতে চান তাঁরা। সেই ভাবনা থেকেই জাতীয় রাজনীতির অন্যতম মুখ এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে ইউপিএ সূত্রে জানা গিয়েছে।

বিজেপি (BJP)বিরোধী ‘একুশে’র লড়াইয়ে সহযোদ্ধা হতে চেয়ে ৩০বি, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাসিন্দাকে ফোন করেছিলেন পাওয়ার। কীভাবে সমস্ত শক্তি ব্যবহার করে বাংলাকে টার্গেট করা হচ্ছে, কীভাবে ষড়যন্ত্র চলছে, সে বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল শারদ পাওয়ার। আর তাই এই লড়াইয়ে বিজেপি বিরোধী ‘মহামঞ্চ’ গড়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার টেলিফোনে দুই নেতা-নেত্রীর মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তাও হয়।

সূত্রের খবর, তৃণমূল সুপ্রিমোর পাশে দাঁড়িয়ে গেরুয়া শিবিরের সেই ষড়যন্ত্রের পর্দা ফাঁস করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পাওয়ার। আর সেটা তিনি করতে চান আগামী জানুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে, কলকাতায় এসে। ইউপিএর সম্ভাব্য চেয়ারম্যান হিসেবে যাঁর নাম চূড়ান্ত হতে চলেছে, মহরাষ্ট্রের সেই ‘পাওয়ার ম্যানের’ প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন মমতাও। সূত্রের খবর, শুধু এনসিপি প্রধানই নন, অবিজেপি রাজনৈতিক দলে শিবসেনা, কংগ্রেস, ডিএমকে, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা এবং শিরোমণি অকালি দলও রাজনীতির এই জটিল আবর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি বিরোধী যে ‘মহামঞ্চ’ তৈরির খসড়া রচিত হয়েছে, আগামী জানুয়ারিতে কলকাতায় বড়সড় সমাবেশের মধ্যে দিয়ে তাকে পূর্ণাঙ্গ আকার দেওয়া হবে। এই ব্যাপারে ইতিমধ্যে তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে শারদ পাওয়ার সহ আরও কয়েকজনের প্রাথমিক কথাবার্তা শুরু হয়েছে। শুধু অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলিই নয়, গেরুয়া শিবির বিরোধী এই লড়াইয়ে মমতার পাশে থেকে তাঁকে সর্বোতভাবে সাহায্য করার কথা বলেছেন কৃষিবিল বিরোধী আন্দোলনে (Farmers Protest) সিংঘুতে অবস্থানরত কৃষক নেতারাও।

গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে, বিশেষ করে কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে গেরুয়া শিবিরের পাশে খোলাখুলিভাবে দাঁড়িয়েছিল কিছু আঞ্চলিক দল। তার মধ্যে বংশীবদন বর্মনের গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন (জিসিপিএ) এবং অতুল রায়ের কামতাপুর পিপলস পার্টি (কেপিপি) অন্যতম। সর্বভারতীয় স্তরের বিজেপি বিরোধী দলগুলিই শুধু নয়, ঐতিহ্যবাহী দুই জনগোষ্ঠী রাজবংশী ও কামতাপুরীদের মধ্যে প্রভাব থাকা জিসিপিএ এবং কেপিপি এবারের লড়াইয়ে মমতার পাশে থাকার আগাম ঘোষণাও করে দিয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Mamata Banerjee, #Farmers' protest

আরো দেখুন