আন্তর্জাতিক পরিযায়ী দিবস ও কেন্দ্রের ‘নো ডেটা অ্যাভেলেবেল’ সরকার
যারা ভালো করে বাঁচার আশায় নিজের চেনা জগৎ ছেড়ে ভিনরাজ্যে বা, ভিনদেশে পাড়ি দেন। আজ বিশ্বায়নের যুগে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার ফলে এই সংখ্যা বিপুল হারে বেড়েছে।

আজ আন্তর্জাতিক পরিযায়ী দিবস। মানবসভ্যতার ইতিহাসে প্রাচীনকাল থেকেই একটি শব্দ জড়িয়ে আছে, পরিযায়ী। যারা ভালো করে বাঁচার আশায় নিজের চেনা জগৎ ছেড়ে ভিনরাজ্যে বা, ভিনদেশে পাড়ি দেন। আজ বিশ্বায়নের যুগে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার ফলে এই সংখ্যা বিপুল হারে বেড়েছে।
এই নতুন যুগে সুবিধার পাশাপাশি অনেক নতুন প্রতিবন্ধকতাও এসেছে এই শ্রেণির মানুষদের সামনে। বহুদিন ধরেই পরিযায়ী এবং উন্নয়নের মধ্যে একটা স্পষ্ট সম্পর্ক দেখা গেছে। শুধু যেখানে তাঁরা বাস করেন, সেখানকার সমৃদ্ধি নয়, যেখান থেকে তাঁরা এসেছেন, সেখানকার আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়ন দেখা গেছে।
এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে এক অন্যতম চিন্তার বিষয় এই পরিযায়ী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমেই পরিযায়ীদের বিভিন্ন সমসার সমাধান সম্ভব। এই লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ।
করোনাকালে লকডাউন পরিস্থিতিতে এই শব্দটি ভারতীয়দের কাছেও অতি পরিচিত। কেন্দ্রীয় সরকারের বিনা পরিকল্পনায় লকডাউন ঘোষণার ফলে চরম দুর্দশায় পড়েছেন লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। তাদের ন্যুনতম রেশনের বন্দোবস্ত করেনি কেন্দ্র। ছিল না যোগাযোগ ব্যবস্থা। পায়ে হেঁটে হাজার হাজার মাইল পথ পেরোতে গিয়ে খিদের জ্বালা ও ক্লান্তিতে পথেই প্রাণ হারিয়েছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক। সেই তথ্যও নেই কেন্দ্রের কাছে।