দিলীপ–মুকুলে ভরসা নেই! ছয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বাংলায় পাঠাচ্ছেন অমিত শাহ
লক্ষ্য বঙ্গ–জয়। বাংলায় আসছেন ছয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। একুশের ভোটের আগে বাংলার বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্র ধরে একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে সংগঠন গড়ে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁদের। শনিবার বঙ্গ সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তার আগে বিগত দু’দিন ধরে শাসক শিবিরে যেন ধস নেমেছে! মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে শুরু করে কাউন্সিলর, জেলা সভাপতি এবং স্থানীয় নেতাদের পদত্যাগের জেরে অস্বস্তিতে গোটা তৃণমূল (Trinamool) নেতৃত্ব। মেদিনীপুরে বারবেলায় শাহের সভাতে তাঁদের একাংশ গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে পারেন বলে কানাঘুঁষো খবর, যা বদলে দিতে পারে বঙ্গের রাজনৈতিক সমীকরণ, দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। তার আগে ছ’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বাংলার সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়ার শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত গেরুয়া শিবিরের একাংশ। আবার একটি অংশের দাবি, বঙ্গ নেতৃত্বের ওপর যে খুব একটা ভরসা রাখছে না শীর্ষ নেতৃত্ব, এই সিদ্ধান্তে তা স্পষ্ট। মুকুল–দিলীপের হাত ধরে গত লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য এলেও বিধানসভার ভোটে সেই ঝুঁকি নিতে চাইছে না শীর্ষ নেতৃত্ব, যা একরকমভাবে অপমানজনক, বলছেন কেউ কেউ।
বাংলায় আসছেন জল শক্তি মন্ত্রকের মন্ত্রী গজেন্দ্রসিং শেখাওয়াত, জনজাতি উন্নয়ন মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, পর্যটনমন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল, পশুপালন প্রতিমন্ত্রী সঞ্জীব বালিয়ান, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই, জাহাজ মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয়। ছ’টি লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব পেয়েছেন প্রহ্লাদ প্যাটেল। বাকি পাঁচ মন্ত্রীকে পাঁচটি করে লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি, দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের কাজ হবে, লোকসভা কেন্দ্রের আওতায় থাকা বিধানসভা কেন্দ্রে সাংগঠনিক স্তরের মূল সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করা, কোন কেন্দ্র থেকে কোন প্রার্থীকে দাঁড় করানো যায়, সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া। প্রতি পদক্ষেপে তাঁরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষকে তাঁরা সরাসরি রিপোর্ট করবেন। শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ, নির্বাচন পর্যন্ত প্রত্যেক মাসে তাঁরা নিজেদের লোকসভা কেন্দ্রে যাবেন এবং সেখানে ১০–১৫ দিন সশরীরে উপস্থিত থেকে সংগঠনের দেখভাল করবেন। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে উত্তরপ্রদেশে উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য এবং মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রকে, সূত্রের দাবি।