“ব্রুটাস তুমিও! শুভেন্দু তুমিও!” ইতিহাস কখনো বেইমানদের ক্ষমা করেনা
ব্রুটাস তুমিও! শুভেন্দু তুমিও! মেদিনীপুরের সভামঞ্চে অমিত শাহের পা ছুঁয়ে প্রণাম করে শুভেন্দু যখন মাইকে বলছেন, সেই 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই তিনি নাকি অমিত শাহের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, তা শুনতে শুনতে বাংলার বহু প্রবীণ তৃণমূল নেতা স্বগতোক্তি করে বলছেন, শুভেন্দু তুমিও! দিদির এত স্নেহধন্য হয়েও শেষে দিদির পিঠে ছুরি মারলে!
রোম সাম্রাজ্য হোক বা বাংলা, ইতিহাস কখনো বেইমানদের ক্ষমা করে নি। ব্রুটাস থেকে শুরু করে মীরজাফর। পৃথিবীর ইতিহাসে যেখানেই বিশ্বাসঘাতকতা, বেইমানি বা পিঠে ছুরি মারার ঘটনা ঘটেছে, ইতিহাস সাক্ষী – সেই সমস্ত বেইমান এবং বিশ্বাসঘাতকরা নিজেদের জীবদ্দশাতেই তার শাস্তি পেয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং তার নতুন দল বিজেপির (BJP) নেতারা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তো একটা সময় কংগ্রেস ছেড়ে নতুন দল গঠন করেছিলেন। তাহলে শুভেন্দুর দল ছাড়াকে বিশ্বাসঘাতকতা বলা হচ্ছে কেন?
মনে রাখতে হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) কংগ্রেসে থাকাকালীন তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল সিপিএমের সঙ্গে তলায় তলায় আঁতাত করেননি। তার একটাই অভিযোগ ছিল, বাংলায় কংগ্রেস সিপিএমের বি টিম হয়ে গিয়েছে। এই প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি দল ছেড়েছিলেন।
কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রে সে কথা প্রযোজ্য নয়। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে স্থান দেওয়ার পাশাপাশি পরিবহন ওসেচ দপ্তরের মন্ত্রিত্বের ভার তুলে দিয়েছিলেন শুভেন্দুর হাতে। দীর্ঘকাল দলের যুব সংগঠনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এমনকি কিছুদিন আগে পর্যন্ত পরম বিশ্বাসে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের বহু জেলায় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন শুভেন্দুকে। তাই আজ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সৌগত রায়ের মত প্রবীণ নেতারা প্রকাশ্যেই শুভেন্দু অধিকারীকে বেঈমান বা বিশ্বাসঘাতক বলতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা বোধ করছেন না।