জার্সি বদলানোই রীতি সুনীল মণ্ডল, দশরথ তির্কেদের
সমস্ত জল্পনার অবসান। অবশেষে অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গেই তৃণমূলের একঝাঁক নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে। শীলভদ্র দত্ত, দীপালি বিশ্বাস, বনশ্রী মাইতি, বিশ্বজিৎ কুণ্ডুরা রয়েছেন সেই তালিকায়। বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের সাংসদ সুনীল মন্ডল (Sunil Mondal), প্রাক্তন সাংসদ দশরথ তির্কে (Dasharath Tirke), কর্ণেল দীপতাংশু চৌধুরীরাও ( Colonel Diptangshu Chowdhury) দলবদল করলেন।
দলবদলের ইতিহাস
সুনীল মন্ডল ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের ফরোয়ার্ড ব্লকের নেতা। মুকুল রায়ের হাত ধরে তিনি তৃণমূলে আসেন। ২০১৪ সালে ও ২০১৯ সালে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ হন। এবার তিনি আবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যেতে চাইছেন। দশরথ তির্কেও ২০১৪ সালে আরএসপি থেকে তৃণমূলে আসেন। সাংসদ হন আলিপুরদুয়ার থেকে। কিন্তু ২০১৯-এ জেতেননি। কর্ণেল দীপতাংশু চৌধুরী ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপির টিকিটে। কিন্তু জিততে পারেননি। এরপর ২০১৭-য় তৃণমূলে আসেন। দীপালি বিশ্বাস গাজোলের বিধায়ক। বাম প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করে মুকুলের হাত ধরে তৃণমূলে আসেন।
অতঃকিম
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরণের নেতাদের নীতি আদর্শ বলে কিছু থাকে না। এদের কখনোই লক্ষ্য থাকে না মানুষের জন্য কাজ করার। বাম থেকে কিছুদিন তৃণমূলের সুবিধা নিয়ে এবার রাম হচ্ছেন আরও কিছু সুবিধা হাতাতে।
তাদের মতে, সমুদ্রে জাহাজ যখন খারাপ আবহাওয়ায় পড়ে বা ইঞ্জিন সাময়িক বিকল হয়, জাহাজের মধ্যে থাকা ইঁদুরগুলো সবথেকে আগে জলে ঝাঁপ দেয়। প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে করুণ পরিণতি হয় ইঁদুরগুলির। একইভাবে, এরকম নেতাদের কোনও ভবিষ্যৎ নেই।