দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

যে বাড়িতে অমিত খেলেন, তার হেঁশেল চলে মমতার খাদ্য সাথীর চালে

December 20, 2020 | 2 min read

মমতা সরকারের খাদ্যসাথী প্রকল্পে দেওয়া চলেই হবে ভাত রান্না। বীরভূমে যে বাউল পরিবারে অমিত শাহ মধ্যাহ্নভোজন সারলেন সেই পরিবারের গৃহিনী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমনটাই।

রবিবার শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন অমিত শাহ। সেখানে শ্যামবাটির এক বাউল পরিবারে দুপুরে খান তিনি। কিন্তু লকডাউনে রোজগার নেই বাউল বাসুদেব দাসের। তাই ইচ্ছে থাকলেও অতিথিকে ভালো-মন্দ রেঁধে খাওয়াতে পারবেন না। বাসুদেব দাসের স্ত্রী উর্মিলা তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, মমতা সরকারের দেওয়া খাদ্যসাথী প্রকল্পের চালেই অমিত শাহের মধ্যাহ্নভোজনের ব্যবস্থা করবেন।

বঙ্গ সফরে এসে কারও বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারা অমিত শাহের নতুন নয়। বিরোধীরা যতই কটাক্ষ করুক মধ্যাহ্নভোজনের রাজনীতি অব্যাহত রেখেছে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। গত মাসে বাগুইহাটিতে মতুয়া বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারেন অমিত। সেখানে খাদ্যতালিকায় ছিল পোস্তর বড়া থেকে নানা নিরামিষ পদ। এই নিয়েও কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। এমন আকালের বাজারে ১৩০ টাকা কিলো পোস্ত কীভাবে ওই নিম্নবিত্ত পরিবার কিনল সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ফাইভ স্টার হোটেল থেকে রান্না করিয়ে এনে অমিত শাহের পাতে দেওয়া হয়েছে।

আবার নকশালবাড়িতে আদিবাসী পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন অমিত শাহ। তাঁদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু অমিত শাহ চলে যাওয়ার পর আর কেউ তাঁদের খোঁজ রাখেননি বলে পরবর্তীতে আক্ষেপ করেছিল গীতা মাহালির পরিবার। পরে গীতা মাহালির হাতে হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেয় মমতা সরকার। ওই পরিবারের সদস্য রাজু মাহালি বলেন যে, ‘বিজেপি এসে খাওয়াদাওয়া করে গিয়েছে। কিন্তু তারপর আর কোনও খোঁজ নেয়নি আমাদের। আমার স্ত্রী এই চাকরি পাওয়াতে আমি খুব খুশি।’

এই বিষয়ে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, ‘অমিত শাহ এই মাহালি আদিবাসী পরিবারের ঘরে উঠেছিলেন। মধ্যাহ্নভোজ করেছিলেন। পাশাপাশি নানারকম প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর না বিজেপি না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেউ-ই এই পরিবারের পাশে দাঁড়াননি। আজকে আরও একবার প্রমাণ হল যে বিজেপি যে ভন্ড রাজনীতি করে। বাংলায় লোক দেখানো রাজনীতি করে।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Khadya Sathi, #Amit shah

আরো দেখুন