দেশ বিভাগে ফিরে যান

মন কি বাতের দিন ঘরে বসে থালা বাজান, আর্জি আন্দোলনকারী কৃষকদের

December 21, 2020 | 2 min read

মোদির অস্ত্রই মোদিকে ফেরাতে চাইছেন কৃষকরা ছবি: পিটিআই

মোদির অস্ত্রই মোদিকে ফেরাতে চাইছেন কৃষকরা। গত ২২ মার্চ হাততালি দিয়ে কিংবা ঘণ্টা বাজিয়ে করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানানোর জন্য দেশের মানুষের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কেন্দ্রের তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত ২৫ দিন ধরে দিল্লি সংলগ্ন বিভিন্ন সীমানায় আন্দোলন করা কৃষকেরা এবার সেই ‘নিদান’ই নরেন্দ্র মোদিকে ফিরিয়ে দিতে মরিয়া হলেন। রবিবার বিক্ষোভরত কৃষকেরা দেশবাসীর কাছে আর্জি জানিয়ে বলেছেন, ‘আগামী ২৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন মন কি বাত (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন, তখন পুরো সময়টা সাধারণ মানুষ নিজের বাড়িতে থেকেই থালা বাজান। যতক্ষণ প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত থালা বাজানো হোক। এমনভাবে থালা বাজান, যাতে সেই শব্দ নরেন্দ্র মোদির একেবারে কান পর্যন্ত পৌঁছে যায়।’ পাশাপাশি এদিন আন্দোলন আরও তীব্র করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষকেরা। ঘোষণা হয়েছে একগুচ্ছ কর্মসূচিও।

বিক্ষোভকারী কৃষকেরা জানিয়েছেন, ‘কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার প্রতিটি বিক্ষোভস্থলে দিনভর রিলে অনশন করা হবে। আগামী ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত হরিয়ানার কোনও টোল প্লাজায় সরকারকে ট্যাক্স আদায় করতে দেওয়া হবে না।’ গত সোমবারও একদিনের অনশন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তার আগে টোল প্লাজা অবরোধ কর্মসূচিও গ্রহণ করা হয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ‘সরকার যখন তাঁদের কোনও কথাতেই কর্ণপাত করছে না, তখন তাঁরা ফের টোল প্লাজা অবরোধ এবং রিলে অনশনের মতো কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। যা সরকারের কাছে আরও কঠোর বার্তা পৌঁছে দেবে।’ একইসঙ্গে রবিবার আন্দোলনকারীরা আর্জি জানিয়েছেন, ‘আগামী ২৩ ডিসেম্বর কিষান দিবসে অন্তত একবেলা যেন সাধারণ মানুষ না খেয়ে থাকেন। কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে এটা দেশবাসী করুক।’

কৃষক আন্দোলনে (Farmers Protest) অংশ নিয়ে মৃতদেরস্মৃতির উদ্দেশে এদিন ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস’ পালন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগে তাঁরা বলেছেন, ‘আন্দোলনরত অবস্থায় কৃষক মৃত্যু নিয়ে কোনও ভুল তথ্য দেওয়া হয়নি।’ বরং শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবসে ৩৩ জন মৃত কৃষকের ছবি ও নাম প্রকাশ করে বিক্ষোভরতরা সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছেন, ‘পারলে সরকার মিলিয়ে দেখুক।’ দিল্লি-হরিয়ানার সিংঘু সীমানা, দিল্লি-রোহতক করিডরের তিক্রি সীমানায় মৃতদের স্মৃতিতে মোমবাতি মিছিল হয়েছে। বুরারি গ্রাউন্ডেও মিছিল করেছেন আন্দোলনকারীরা।

এরই মধ্যে রবিবার ফের ২২ বছরের এক কৃষকের ‘আত্মহত্যা’র খবর এসেছে। তবে তিনি বিক্ষোভস্থল থেকে পাঞ্জাবের বাড়িতে ফিরে বিষ খেয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে খবর। দিল্লি-উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর সীমানায় তৈরি হয়েছে ‘ওয়াল অব কাইন্ডনেস’। এই সীমানার দুটো দিকই অবরোধের হুঁশিয়ারির জেরে গাজিপুরে বৃদ্ধি করা হয়েছে পুলিসি নিরাপত্তা। মিরাট থেকে গাজিয়াবাদের উদ্দেশে শুরু হয়েছে ট্রাক্টর-মিছিল। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে দিল্লি-নয়ডার চিল্লা সীমানাতেও। রাজস্থান-হরিয়ানা সীমানাতেও বাড়ছে বিক্ষোভের তীব্রতা। কৃষকদের অভিযোগ, ‘আন্দোলনের সমর্থনে প্রবাসীরা তাঁদের অর্থ সাহায্য করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট একটি ব্যাঙ্ক থেকে কৃষকদের সতর্ক করা হয়েছে। লেনদেনের তথ্য চাওয়া হয়েছে।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Farmer Protest, #Mann Ki Baat

আরো দেখুন