দাবি আদায়ে ‘রিলে অনশন’ শুরু কৃষকদের
মোদি সরকারের উপর চাপ বাড়াতে নিজেদের দাবিতে অনড় কৃষকরা এবার শুরু করলেন ‘রিলে অনশন।’ সোমবার থেকেই এই ‘রিলে অনশন’ শুরু হয়েছে। দাবি না মেটা পর্যন্ত তা লাগাতার চলবে। প্রতিদিনই ১১ জন কৃষক এই অনশনে অংশ নেবেন। ওই রিলে অনশনের পাশাপাশি আগামীকাল ২৩ ডিসেম্বর আন্দোলনরত কৃষকরা একবেলা অভুক্ত থাকবেন বলেও জানিয়ে দেওয়া হল। আন্দোলনের মধ্যেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পাঞ্জাবের আরও এক কৃষক। এদিকে, সরকার যে তাঁদের ফের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে, সেই ব্যাপারে কৌশল ঠিক করতে আজ মঙ্গলবার নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসছে কৃষক সংগঠনের নেতারা। অন্যদিকে, কৃষকদের মন জয়ে মরিয়া মোদি বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল জারি রেখেছেন। তারই অঙ্গ হিসেবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’ প্রকল্পে একলপ্তে ১৮ হাজার কোটি টাকা কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করবেন। প্রধানমন্ত্রী ওইদিন কৃষকদের (Farmers) সঙ্গে ভার্চুয়াল আলাপচারিতা করতে ইচ্ছুক বলেও কৃষিমন্ত্রক সূত্রে খবর।
বলা বাহুল্য, গত ২৬ নভেম্বর থেকে দিল্লি-হরিয়ানা এবং দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানায় শুরু হয়েছে কৃষকদের বিক্ষোভ। ওই বিক্ষোভ ছড়িয়েছে হরিয়ানা-রাজস্থানের শাহজাহানপুর সীমানাতেও। রাজস্থান, হরিয়ানা ও গুজরাতের বিক্ষুব্ধ কৃষকরা সেখানে শুরু করেছেন আন্দোলন। মহারাষ্ট্র থেকে দিল্লির সীমানায় হাজারে হাজারে আসছেন কৃষকরা। ফলে আন্দোলনের উত্তাপ কমার বদলে ক্রমশ বাড়ছে। সামনেই ইংরেজি নববর্ষ। তারপর ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবস। তাই যথেষ্ট বেকায়দায় পড়েছে কেন্দ্র (Central Government)।
কিছুতেই নমনীয় অবস্থান নিতে রাজি নয় আন্দোলনরত কৃষকরা। আইনের সমর্থনে প্রায় নিত্যদিন বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করছেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। কিন্তু তা কাজে দিচ্ছে না। আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনের পক্ষে রাকেশ টিকায়েত সোমবার বলেছেন, কোন যুক্তিতে কৃষকদের একাংশ আইনের সমর্থন করছে, জানি না। আইনের সমর্থনকারী কৃষকদের সঙ্গে প্রয়োজনে আমরা বৈঠক করব।
কৃষকরা তাঁদের আন্দোলনের বার্তা ছড়িয়ে দিতে সোশ্যাল মিডিয়া ‘ফেসবুক’কে কাজে লাগাচ্ছে। আচমকাই রবিবার কিষাণ একতা মোর্চার ফেসবুক পেজ ব্লক হয়ে যায়। সোমবার ফেসবুক জানায়, সক্রিয়তা বেড়ে যাওয়ার কারণেই কিষাণ একতা মোর্চার পেজ ঘিরে সমস্যা হয়। ঘণ্টা তিনেকের মধ্যেই সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।