বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

শ্রীনিবাস রামানুজন সম্পর্কে এই চমকপ্রদ তথ্যগুলি জানেন?

December 22, 2020 | 2 min read

শ্রীনিবাস রামানুজন বিশ্বের সর্বকালের সেরা গণিতজ্ঞদের একজন। প্রথমে জীবনে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। দেখে নেওয়া যাক তাঁর জীবনের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা।

১. যে বই দিয়ে শুরু

রামানুজনের গণিতের প্রতি আগ্রহ জাগে একটি বইয়ের মাধ্যমে। বইটির লেখক নামী গণিতজ্ঞ ছিলেন না। না এটি কোনও সাম্প্রতিক কাজের ওপরে ছিল। বইটি ছিল জর্জ সুব্রিজ কারের লেখা “এ সিনোপসিস অফ এলিমেন্টারি রেজাল্টস ইন পিওর অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড ম্যাথেমেটিক্স (১৮৮০, পুনঃমুদ্রিত ১৮৮৬)।” বইটিতে কয়েক হাজার উপপাদ্য ছিল তার মধ্যে বেশিরভাগের কোনও প্রমাণ ছিল না আর যেগুলো ছিল, তা খুব সংক্ষেপে। ১৫ বছর বয়সী রামানুজন ১৯০৩ সালে বইটি হাতে পান। তিনি এই বইয়ের সঙ্গে নিজের যোগ খুঁজে পান। 

২. প্রাথমিক পরাজয়

অঙ্কে ভালো হলেও রামানুজনের কোনও ইচ্ছে ছিল না গণিতজ্ঞ হওয়ার। ১৯০৪ সালে তিনি কলেজে বৃত্তি পান। কিন্তু, বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ার কারণে সেই বৃত্তি হারিয়ে যায়। এরপর চেন্নাইয়ের অন্য এক কলেজে চেষ্টা করলে, সেখানেও একই ফল হয়। এইসময়ই তিনি বিখ্যাত নোটবুক লেখা শুরু করেন। ১৯১০ সালে ইন্ডিয়ান ম্যাথেমেটিকাল সোসাইটির সম্পাদক আর রামচন্দ্র রাওয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে পর্যন্ত তিনি খুব অভাবে কাটিয়েছেন। প্রথমে সন্দিহান হলেও, রাও পরে রামানুজনের প্রতিভা বুঝতে পারেন ও আর্থিক সাহায্য করেন। 

৩. পশ্চিমে যাও

রামানুজন ভারতীয় গণিতজ্ঞদের মধ্যে বেড়ে উঠেছেন। কিন্তু, তাঁর সহকর্মীরা মনে করেন তাঁর পশ্চিমা গণিতজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করা উচিৎ। এজন্য তিনি কেমব্রিজে চিঠি লেখা শুরু করেন। প্রথম দুই চিঠির উত্তর না পেলেও তৃতীয় চিঠি যা তিনি লেখেন ১৯১৩ সালের ১৬ই জানুয়ারি জি এইচ হার্ডিকে তাঁর মনোবাঞ্ছা পূরণ করে। রামানুজন ৯ পাতার কিছু কষে পাঠান। এর মধ্যে কিছু হার্ডির জানা হলেও বাকিগুলো তাকে মুগ্ধ করে। ১৯১৪ সালে রামানুজন হার্ডির কাছে পড়তে যান।

৪. পাই পরীক্ষা

নোটবুকে রামানুজন ১৭ ভাবে 1/pi কষেছিলেন অসীম তালিকায়। যেমন, সপ্তদশ শতাব্দীর গ্রেগ্রি লেবনিজ সিরিজে আছে pi/4 = 1 – ⅓ + ⅕ -1/7 + … এই সিরিজ খুব মন্থর। ৬০০ বার সময় লাগে ৩.১৪ হতে। রামানুজন 1/pi নিয়ে আসেন। এতে অনেক তাড়াতাড়ি ৩.১৪ আসে। 

৫. ট্যাক্সিক্যাব সংখ্যা 

হার্ডি একবার একটি ট্যাক্সি ধরে রামানুজনের কাছে যাচ্ছিলেন। তিনি নামার পর রামানুজনকে বলেন, ট্যাক্সির নম্বর ১৭২৯, খুব সাধারণ একটি সংখ্যা। রামানুজন বলেন, না, এটি খুব আকর্ষণীয় সংখ্যা। 1729 = 1^3 + 12^3 = 9^3 + 10^3 এই সংখ্যা এখন হার্ডি রামানুজন সংখ্যা বলে পরিচিত। 

৬. ১০০/১০০

অঙ্কের যোগ্যতার নিরিখে হার্ডি ০-১০০ একটি স্কেল তৈরি করেন। তিনি নিজেকে ২৫এ রাখেন। জার্মান গণিতজ্ঞ ডেভিড হিল্বার্টকে ৮০তে এবং রামানুজনকে ১০০তে। রামানুজন যখন মাত্র ৩২ বছর বয়সে ১৯২০ সালে মারা যান, রেখে যান তিনটি নোটবুক এবং একতাড়া কাগজ। এইসমস্ত নোটবুকের ফল আজ শতাব্দীর পরেও গণিতজ্ঞদের চিন্তার রসদ দিচ্ছে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Srinivasa Ramanujan

আরো দেখুন