সুষ্ঠ শরীর ও ঝকঝকে ত্বক পেতে মানুন এই নিয়ম

আমন্ড বাদাম শুধু ড্রাই ফ্রুট হিসেবেই ব্যবহার হয় না, আমাদের সৌন্দর্য রক্ষাতেও এর ভূমিকা অনেক। চুল এবং ত্বক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য রক্ষা পর্যন্ত করে আমন্ড বাদাম এবং সেখান থেকে নিঃসৃত তেল। এতে আছে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম আর ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান আর প্রয়োজনীয় খনিজ। এই বাদাম ও তেলের এত গুণ আছে যে বলে শেষ করা যাবে না।

March 25, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

আমন্ড বাদাম শুধু ড্রাই ফ্রুট হিসেবেই ব্যবহার হয় না, আমাদের সৌন্দর্য রক্ষাতেও এর ভূমিকা অনেক। চুল এবং ত্বক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য রক্ষা পর্যন্ত করে আমন্ড বাদাম এবং সেখান থেকে নিঃসৃত তেল। এতে আছে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম আর ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান আর প্রয়োজনীয় খনিজ। এই বাদাম ও তেলের এত গুণ আছে যে বলে শেষ করা যাবে না।

ত্বকের জন্য আমন্ড অয়েল খুব ভাল

ত্বক খুব তাড়াতাড়ি এই তেল শোষণ করে নেয়। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে দাগহীন, ঝকঝকে উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া যেতে পারে। 

আমন্ড অয়েলে প্রচুর ভিটামিন ই থাকে, যার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব ঠেকাতে সক্ষম। ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না। নিয়মিত মাখুন এই তেল। 

আমন্ড অয়েলের কোলাজেন ত্বকের বলিরেখা ঠেকায় এবং চোখের কোলের ডার্ক সার্কলস ঠেকাতেও তা দারুণ কার্যকর। রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে চোখের তলায় ভাল করে এই তেল লাগিয়ে নিন।

স্ট্রেচ মার্কসে নিয়মিত আমন্ড তেল লাগানো যায় তা হলে তা ক্রমশ মিলিয়ে যেতে আরম্ভ করে।

স্বাস্থ্যরক্ষায় আমন্ড অয়েল

আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষাতেও কাজে আসে এই তেল। বিশেষজ্ঞরা বলেন আমন্ড তেলে রান্না করলে সেই খাবার খেলে ওজন অনেকটাই কমে বা নিয়ন্ত্রনে আসে।

হার্টের জন্য

বাদাম তেলে মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড আছে যা হার্টের জন্য খুব ভালো। যারা হার্টের সমস্যায় ভোগেন তাদের উচিৎ সর্ষের তেলের পরিবর্তে এই তেল ব্যবহার করা। প্রতিদিন এক চা চামচ তেলে রান্না করুন আর সুস্থ হার্ট পেয়ে যান। হার্টের সমস্যা অনেক সময়ই বাড়তি ওজনের সঙ্গে জড়িত থাকে। সেখানেও এই জাদু তেল ম্যাজিক দেখাতে পারে। কারণ এই তেল দিয়ে রান্না করে খেলে বা এই তেল সরাসরি খেলে ওজন কমে এবং ওজন বৃদ্ধি অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে থাকে।

হজম শক্তি ও প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য

এই তেল প্রতিদিন খেলে শরীর শক্তিশালী হয়ে ওঠে আর সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হয়।সরাসরি এই তেল খাওয়ায় আপনার যদি কোনও অসুবিধে থাকে তাহলে স্যালাডে ড্রেসিং করার সময় এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই তেলে রান্না করলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা কম হওয়ার কারণ হল এই তেল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে খুব সহজেই। আর সেইজন্যি প্রতিদিন পেট পরিষ্কার থাকার জন্য হজম জনিত সমস্যা হয় না বললেই চলে।

ব্যথা ও পেশীর সমস্যায়

যে জায়গায় ব্যথা হয়েছে সেখানে এই তেল সামান্য গরম করে লাগান। এই তেল জয়েন্ট পেন আর পেশীর ব্যথায় আরাম দেয়। এছাড়াও অনেক সময় নানা কারণে যেমন ঠাণ্ডা লাগলে বা কোনও সংক্রমণ হোলে আমাদের কানে ব্যথা হয়। তখন আমন্ড তেল কয়েক ফোঁটা কানে দিলে কানের ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায় অনেক তাড়াতাড়ি।  

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen