সান্তা বাড়ি বয়ে দিয়ে এলো স্বাস্থ্য সাথী কার্ড- অভিনব উদ্যোগ রাজ্য সরকারের

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে চন্দননগরের একাধিক প্রবীণ মানুষের বাড়ি গিয়েছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রলয় মজুমদার স্বয়ং।

December 26, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

বড়দিন মানেই সান্তা বুড়োর উপহার। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড’ও (Swasthya sathi) রাজ্যবাসীর কাছে উপহারই। তাই বড়দিনে সান্তার বেশে সেই কার্ড সত্তোরোর্ধ্ব প্রবীণদের হাতে পৌঁছে দিল হুগলি জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের এই অভিনব উদ্যোগে ভালোই সাড়া পড়েছে জেলায়। বড়দিনের উপহার ‘সান্তা’ বাড়ি বয়ে দিয়ে যাওয়ায় উচ্ছ্বসিত প্রবীণরাও।

এদিন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে চন্দননগরের একাধিক প্রবীণ মানুষের বাড়ি গিয়েছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রলয় মজুমদার স্বয়ং।  জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ৯টি ব্লক ও ৫টি পুরসভা এলাকায় সান্তার সাজে হাজির হয়েছিলেন জেলা প্রশাসনের কর্মী-আধিকারিকরা। অতিরিক্ত জেলশাসকের কথায়, ‘আমরা দেখেছিলাম অনেকেই নাম তুলেছেন কিন্তু কার্ড নিতে আসেননি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তাঁরা প্রবীণ মানুষ। অনেকে শয্যাশায়ীও। ফলে বড়দিনকে সামনে রেখে আমরা তাঁদের বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। আর বড়দিন ছিল বলেই সান্তা সেজে যাওয়ার ভাবনাটা মাথায় আসে। প্রবীণ মানুষগুলি এতে খুশিই হয়েছেন। তাঁদের উচ্ছ্বসিত মুখগুলিই আমাদের জন্য বড়দিনের বড় পাওনা।’ হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘আমরা জেলাবাসীর কাছে সবরকমভাবে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে চাইছি। এইধরনের উদ্যোগ তারই একটা অংশমাত্র।’

বড়দিনের দুপুরে চন্দননগরের তালপুকুরের ধারে একটি বাড়িতে তখন ঢুকছে জেলা প্রশাসনের সান্তা। বেল বাজাতেই প্রবীণ বাসিন্দা দরজা খুললেন। সামনে সান্তাকে দেখে বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন বৃদ্ধ। ঘোর কাটে হাতে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পেয়ে। অতিরিক্ত জেলাশাসক, চন্দননগরের মহকুমাশাসক তাঁকে বোঝান, সান্তা এসেছে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দিতে। শুনে একগাল হেসে কার্ডটি হাতে নেন বৃদ্ধ। তা দেখে জেলা প্রশাসনের এক কর্তার উক্তি, ‘সরকারি কাজই করেছি। কিন্তু, কাজ বলে মনে হয়নি। মনে হল এক অন্য বড়দিন পালন করলাম।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen