আমরা ছেড়ে দেব না: অমর্ত্য সেনকে হেনস্থার প্রতিবাদে বিজেপি–কে আক্রমণ কবির সুমনের
শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan)অমর্ত্য সেনের(Amartya Sen) পৈত্রিক বাড়ি ‘প্রতীচী’র (Pratichi)জমি বিতর্কে তাঁকে হেনস্থার অভিযোগে পথে নেমেছেন বিশিষ্টরা। রবিবার দুপুরে কলকাতায় বাংলা অকাদেমির সামনে সমবেত হয়ে এর প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu), কবির সুমন(Kabir Suman), জয় গোস্বামী(Joy Goswami), শুভাপ্রসন্ন, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, সুবোধ সরকার, যোগেন চৌধুরীরা। সম্প্রতি শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের পৈত্রিক বাড়ি ‘প্রতীচী’ সংলগ্ন একটি জমি নিজেদের বলে দাবি করে চিঠি পাঠায় বিশ্বভারতী। বৃহস্পতিবার এই চিঠির বিরোধিতায় প্রথম সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার পরই এর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিদ্বজনেরা।
এদিন অকাদেমির সামনে জমায়েত থেকে কবির সুমন বলেন, ‘যদি কেউ বলেন যে ক্ষীতিমোহন সেনের মেয়ে বা তাঁর স্বামী একটা জমি কিনেছেন কিন্তু সেটা অবৈধ, তা হলে কী বলব? আমার ধারণা, ওরা প্ররোচনা দেবে। এটা দিয়ে শুরু হল।’ বিজেপি–র নাম না করে কবির সুমনের আক্রমণ, ‘এই লোকগুলির সম্বন্ধে আমি কিছু বলতে চাই না। কিন্তু এটা আমরা ছেড়ে দেব না। এখানে এসে আমরা এটাই পরিষ্কার করে জানাতে চাই যে ছেড়ে দেব না। সেই ছেড়ে না দেওয়ার কত রকম উপায় আছে সেটা এর আগে যাঁরা শাসক ছিলেন তাঁরা দেখেছেন, এবার এরা দেখবেন।’
এদিন অকাদেমি চত্বরে বিক্ষোভ জমায়েতে সকলের হাতে দেখা যায় একটি পোস্টার। তাতে লেখা, ‘বিজেপি–র বাঙালি অপমান মানছি না, মানব না।’ এদিন গায়ক সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার মনে হয়, সব কিছুতেই একটা দাড়ি টানা উচিত কোথাও। রাজনীতি তো হবেই, গণতন্ত্রে অনেক দল আসবে, যাবে, সে সবই ঠিক আছে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, অমর্ত্য সেনের এটা প্রাপ্য নয়। যাঁর সঙ্গে শান্তিনিকেতনের সরাসরি যোগাযোগ এবং যাঁর নামকরণ স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর করেছেন, তিনি এটা ডিজার্ভ করেন না। তার প্রতিবাদ জানাতেই আমার এখানে আসা।’