বোলপুরে জনপ্লাবন, শেষ হাসি হাসলেন কেষ্ট
চ্যালেঞ্জটা ছিল অমিত শাহের(Amit Shah) রোড শো-কে(RoadShow) টেক্কা দেওয়ার। দায়িত্ব ছিল মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় কেষ্টর কাঁধেই। দুপুরে মিছিল শেষের পর অবশ্য চওড়া হাসি অনুব্রত মণ্ডলের(Anubrata Mondal) মুখে। কারণ মিছিলে ভিড়ের নিরিখে তিনি যে অনেকটাই এগিয়ে। তার জন্য সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তিনি ক্রমাগত কর্মীদের নানা রকম নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। কোথা থেকে কোন মিছিল ঢুকবে, ভিড়ের চাপে যাতে কোথাও কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য প্রতি মুহূর্তে তিনি নজরদারি চালান। পরিশ্রম যে বিফলে যায়নি, তা মানুষের স্রোত আছড়ে পড়ায় প্রমাণ মিলেছে।
এদিন সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ অনুব্রতবাবুকে ট্যুরিস্ট লজ মোড়ে দেখা যায়। তাঁকে ফোনে একজনের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ অনুব্রতবাবু ডাকবাংলো মোড়ে চেয়ার নিয়ে বসেছিলেন। সেখানেও তাঁকে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়। একটি মিছিল শ্রীনিকেতনের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য ফোনে মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Dr Ashish Banerjee) নির্দেশ দেন। পরে এক কর্মীকে হাসত হাসতে বললেন, আর লোক নিবি? ডাক বাংলো মোড়ে তাঁর বসে থাকার জন্য বহু কর্মী-সমর্থক সামনে এসে ছবি তোলার চেষ্টাও করেন। দুপুর ১টা নাগাদ মমতা লজ মোড় থেকে মিছিল শুরু করে এগতেই অনুব্রতবাবু তাঁকে একটি উত্তরীয় দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
আশিসবাবু বলেন, চৌরাস্তায় ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে। কিন্তু, কোনও সমস্যা হয়নি। সবই হয়েছে সুষ্ঠুভাবে। কারণ শহরবাসী যাতে দুর্ভোগে না পড়েন সেদিকেও আমাদের দলের কর্মীদের নজর ছিল। যখনই কোনও এলাকায় বেশি ভিড় হয়ে গিয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে মিছিল ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা না হলে এত মানুষকে পদযাত্রায় শামিল করা যেত না।
অনুব্রতবাবু বলেন, দিদির সংগঠনের লোকজনই শুধু আসেননি, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে উপকৃত লোকজনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানাতে এসেছিলেন। দিদি(Mamata Banerjee) যখন বলবেন তখনই এরকম লক্ষ মানুষের জমায়েত করে দিতে পারব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি জেলার বাকি পাঁচটি শহরেও আলদা করে মিছিল করতে বলেন তাতেও এরকমই মানুষের জমায়েত হবে। এটা আমার কাছে কোনও ফ্যাক্টর নয়। ১১টি পয়েন্টে নেতৃত্ব ছিল। তাঁদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে মনিটরিং করছিলাম। তাও পুলিস সব মিছিল শহরে ঢুকতে দেয়নি। বহু মিছিল আটকে দিয়েছিল। তা না হলে দুর্ঘটনা ঘটে যেত।