বেডে শুয়েই মিলল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আপ্লুত রোগীর পরিবার
জাঙ্গিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে হাসপাতালের বেডে শুয়ে গরিব রোগিণী হাতে পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারের স্বাস্থ্যসাথী (Swasthyasathi) কার্ড। আর তা দিয়েই বড় অপারেশন করানো সম্ভব হল তাঁর। সুস্থ হলেন তিনি। মুখে হাসি ফুটল রাজবলহাট সুখরচকের বাসিন্দা পূর্ণিমা মালিকের।
স্থানীয় হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গেলে দিনমজুর সুভাষ মালিকের স্ত্রী পূর্ণিমা দেবীর গর্ভাশয়ে টিউমার ধরা পড়ে। দুই কন্যাসন্তান নিয়ে স্বামী-স্ত্রী অতি কষ্টে সংসার চালান। চিকিৎসকরা দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দেন। জাঙ্গিপাড়ায় এক বেসরকারি হাসপাতালে পূর্ণিমা দেবীকে ভর্তি করানো হয়। অপারেশনের জন্য চাওয়া হয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা। সঙ্গতির অভাবেই এই জরুরি অপারেশন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সদন ঘোষের মাধ্যমে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তমালশোভন চন্দ্রকে সমস্যাটি জানান সুভাষবাবু। তমালবাবু তড়িঘড়ি জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ সুভাষবাবুর হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দেন। স্বাস্থ্যসাথীতে নথিভুক্ত তারকেশ্বর-চাঁপাডাঙার একটি বেসরকারি হাসপাতালে বুধবার পূর্ণিমা দেবীর অপারেশন হয়। অপারেশন সহ চিকিৎসার সমস্ত খরচ ওই কার্ডের মাধ্যমেই মিটে গিয়েছে। পূর্ণিমা দেবী বলেন, দিনমজুরের কাজ করে সংসার চলে আমাদের। চিকিৎসার এমন বড় খরচ আমাদের পক্ষে বহন করা সম্ভব ছিল না। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে এত তাড়াতাড়ি অপারেশন করাতে পারব ভাবিনি। এই স্কিমে গরিব মানুষের বিরাট অভাবনীয় উপকার হচ্ছে।।
তমালবাবু বলেন, টাকার অভাবে অপারেশন আটকে গিয়েছে শুনেই আমরা যতটা সম্ভব তৎপর হয়েছিলাম। স্বাস্থ্যদপ্তর দ্রুত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রোগীর পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছিল। তাই এই ভালো কাজটা করা গেল। এছাড়া দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে জাঙ্গিপাড়া ব্লকের আরও দু’জনের অপরাশেন করানো সম্ভব হয়েছে। তাঁরা হলেন পম্পা শীল ও পাঁচ বছরের মোহনা ভড়। তাঁদের চিকিৎসার আর্থিক মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা। বাংলার গরিব মানুষের সুচিকিৎসার জন্য এমন অভিনব প্রকল্প চালু করায় মুখ্যমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ