কৈলাসের নারী বিদ্বেষী ট্যুইটের জবাব দিলেন তৃণমূলের মহিলারা
কৈলাস বিজয়বর্গীর এই মন্তব্য খুবই নারীবিদ্বেষী।

এই সপ্তাহে বীরভূম সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মানুষের উন্নয়ন নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করতে ও তাদের আশা আকাঙ্খার কথা শুনতে তিনি অন্যান্য জেলার মত এখানেও গ্রাম পরিদর্শনে যান ফেরার পথে।
গত বুধবার সেই গ্রামে চায়ের দোকানীর কাছে মুখ্যমন্ত্রী চা খেতে খেতে জানতে চান কী রান্না হচ্ছে? তারপর নিজেই খুন্তি হাতে আলু বরবটির তরকারি রান্না করতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই হঠাত্ সফরে ইতিমধ্যেই হইচই শুরু হয় গ্রাম জুড়ে। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হন গ্রামবাসীরা। এই ঘটনার ফটো ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় মুহূর্তের মধ্যেই।
এরপর সেটা নিয়ে কদর্য আক্রমণ করেন বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গী। তিনি একটি ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রীর সেদিনের রান্নার ছবি দিয়ে লেখেন, যে কাজ ওনাকে পাঁচমাস পর থেকে করতে হবে, সেটা উনি আগে থেকেই শুরু করে দিয়েছেন।
বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান ঐ নারীবিদ্বেষী ট্যুইটটিকে কোট রিট্যুইট করে লেখেন, কৈলাস বিজয়বর্গীর এই মন্তব্য খুবই নারীবিদ্বেষী। বিজেপি নেতৃত্ব এই মন্তব্যের মাধ্যমে সেই সকল নারীদের অপমান করেছে যারা নিজের পরিবারের জন্য রান্না করেন এবং পরিবারের সুচিন্তা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপি তাই তাঁকে নিশানা করছে এবং অপমান করছে। লজ্জাজনক।
রাজ্যের মন্ত্রী ডঃ শশী পাঁজাও ঐ নারীবিদ্বেষী ট্যুইটটিকে কোট রিট্যুইট করে লেখেন, বিজেপি তার আসল রূপ দেখাচ্ছে। দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে তাদের এই চিন্তাধারা। বিজেপির শাসনে মহিলাদের সুরক্ষিত না হওয়াই স্বাভাবিক। নারী বিদ্বেষ আবার চাড়া দেওয়ার আগে মনে করে নেবেন একজন চাওয়ালাই এখন আপনাদের প্রভু।
টুইত করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারও।