গলব্লাডারে অস্ত্রোপচারের আগেই রাতারাতি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেলেন বধূ
দুয়ারে সরকারের সুফল আবার দেখা গেল। পেটের ব্যথায় কাতর এক রোগীর হাতে রাতারাতি স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড (Swasthya Sathi Card) তুলে দিল মথুরাপুর ২ ব্লক প্রশাসন। সেই কার্ডের ভরসায় সোমবার গলব্লাডারে অস্ত্রোপচারের জন্য রায়দিঘির কাশীনগরের এক নার্সিংহোমে ভর্তি হলেন তিনি। প্রশাসনের এই তৎপরতায় খুশি গৃহবধূর পরিবার। এজন্য মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাতেও ভোলেননি তাঁরা।
রায়দিঘির কৌতলা গ্রামের বাসিন্দা ফলেহার পিয়াদা কয়েকমাস ধরে পেটের অসহ্য যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। পরীক্ষা করে তাঁর গলব্লাডারে স্টোন ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা ওই পরিবারকে জানান, অবিলম্বে অস্ত্রোপচার জরুরি। কিন্তু, হতদরিদ্র পরিবারটির পক্ষে সেই পরিমাণ টাকা খরচ করে নার্সিংহোমে এই চিকিৎসা করানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে। রোগীর এই অবস্থার কথা বিডিও রিজওয়ান আহমেদ ও যুগ্ম বিডিও অয়ন ভট্টাচার্যের কানে যায়। স্থানীয় যুব তৃণমূলের অঞ্চল সম্পাদক আফতাব পিয়াদার কাছে খোঁজখবর নেন তাঁরা। এরপর যেনতেনপ্রকারেণ ওই গৃহবধূর হাতে কার্ড তুলে দিতে বদ্ধপরিকর হন প্রশাসনের আধিকারিকরা। তাঁরা জানতে পারেন, কৌতলা এলাকায় দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) শিবিরে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ফর্ম জমা দিয়েছেন। এরপরেই সেই আবেদনের রসিদ ও আধার কার্ড নিয়ে শুরু হয় খোঁজখবর। ওই যুব তৃণমূল নেতার মাধ্যমে রবিবার ছুটির দিন রাতে ব্লক অফিসে ডেকে পাঠানো হয় বধূকে। রাতেই অফিসে হাজির হয়ে যান বিডিও ও যুগ্ম বিডিও সহ সরকারি আধিকারিকরা।
যাবতীয় নথি এবং বায়োমেট্রিক পরিচয়পত্রের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আনা হয় ওই অফিসে। শেষ পর্যন্ত গভীর রাতে গৃহবধূর হাতে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড তুলে দিতে সক্ষম হন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। রোগীর পরিবার জানায়, অনেক জায়গায় ছুটেছি চিকিৎসার জন্য। কিন্তু খরচের ভয়ে পিছিয়ে আসছিলাম। কী করে তাঁকে বাঁচাব, ভেবে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু প্রশাসন যেভাবে পাশে দাঁড়াল, তা নিয়ে বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। বিডিও রিজওয়ান আহমেদ বলেন, রোগীর অস্ত্রোপচার খুব জরুরি হয়ে পড়েছিল। কিন্তু, তাঁরা আর্থিক সমস্যায় পেরে উঠছিলেন না। খবর পেয়েই এই বিষয়ে দ্রুত নজর দিই। কম সময়ের মধ্যে কার্ড তুলে দিতে পেরে ভালো লাগছে। ওঁর আরোগ্য কামনা করছি।