ক্রান্তি ব্লকে সিলমোহর মন্ত্রীসভার, উৎসব লাটাগুড়িতে
মাল ব্লক ভেঙে ক্রান্তি ব্লক গড়তে সিলমোহর পড়ল রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠকে। গতকাল ক্রান্তিকে নতুন ব্লক হিসেবে ঘোষণার খবর চাউর হতেই আনন্দে তে ওঠেন লাটাগুড়ির (Lataguri) সাধারণ মানুষ। চলে আতশবাজি পোড়ানো।
সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে এসে মাল ব্লক ভেঙে ক্রান্তি ব্লক গড়ার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই অনুযায়ী এদিন ক্যাবিনেটে বিষয়টির ছাড়পত্র মেলে।
মাল ব্লকের ক্রান্তি, চীপাডাঙা, রাজাডাঙা, চ্যাংমারি, লাটাগুড়ি ও মৌলানি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নিয়ে আলাদা ক্রান্তি ব্লক ঘোষণার দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও এই ব্লক ঘোষণা নিয়ে সরকারি কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। অবশেষে গত ডিসেম্বর মাসে জলপাইগুড়িতে জনসভায় এসে ক্রান্তিকে ব্লক করার কথা ঘোষণা করেন সুখ্যমন্ত্রী।
তারপরই ত্রান্তিকে ব্লক ঘোষণার তোড়জোড় শুরু হয়। গত ১৬ই ডিসেম্বর মালের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ব্লক গঠনের বিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। প্রস্তাবিত ক্রান্তি ব্লকের ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমানা, জনসংখ্যা, বিদ্যালয়, এসএসকে, এমএসকে, হাসপাতাল, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সমস্ত কিছুরই রিপোর্ট তৈরি করে পাঠানো হয় রাজ্যে। মালের বিধায়ক বুলু চিবকড়াইক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমি ক্রান্তিকে ব্লক ঘোষণার দাবি জানিয়েছিলাম। সেই দাবিমতোই মুখ্যমন্ত্রী এই উদ্যোগ নিয়েছেন।”
বিধায়ক জানান, এদিন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas) তাকে ফোন করে ক্রান্তিকে ব্লক ঘোষণার কথা জানিয়েছেন। এই খবর জানাজানি হতেই আনন্দে মেতে ওঠেন লাটাগুড়ির বাসিন্দারা। মাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, “ইতিমধ্যেই লাটাগুড়ি ক্রান্তি মোড় থেকে ক্রান্তি ধনতলা পর্যন্ত রাজ্য সড়কের পাশে ব্লক অফিস তৈরি করতে জায়গা দেখা হয়েছে। এই এলাকার মধ্যেই নতুন ব্লক অফিস তৈরি হবে।”
মাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৌশল্যা রায় বলেন, “রাজ্য সরকার স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি আগাগোড়াই মান্যতা দিয়ে থাকে। ক্রান্তি ব্লক ঘোষণায় সেটা আরেকবার প্রমাণিত হল।”