দূষণের কারণে গৃহসঙ্কটে বাবুই পাখি
বাবুই পাখির বাসা তৈরীর কলা-কৌশল অন্যান্য পাখির চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। সচরাচর উঁচু তাল গাছে তারা বাসা বাঁধে, যাতে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকতে পারে। এই পাখিটির বাসা নির্মাণশৈলী সবার নজর কাড়ে। তাই বাবুই পাখিকে শিল্পী পাখি বলা হয়।
এক সময় গ্রাম-গঞ্জে তাল গাছে শত শত বাবুই পাখির বাসা দেখা গেলেও এখন সেই দৃশ্য আর চোখে পড়ে না। বর্তমানে গ্রাম-গঞ্জে তাল গাছ নেই বললেই চলে। তাল গাছ হারিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাবুই পাখিও হারিয়ে যেতে বসেছে।
বাসা তৈরির জন্য বাবুই পাখির প্রথম পছন্দ তাল গাছ। এরপর নারিকেল বা সুপারি গাছ। এই সব গাছের পাতার সাথে অন্য লতাপাতা মিশিয়ে সে বাসা গড়ে। উপরে বাসা বানানোর কারণে সে নিরাপদে থাকতে পারে। তাল গাছ বা নারিকেল গাছের এত উপরে থাকে সেখানে সাধারণত অন্য কোন কিছুর নাগালের বাইরে থাকে।
সেই বাবুই পাখি ২০-২৫ বছরের ব্যবধানে চরম গৃহসঙ্কটে পড়েছে। এতটাই সঙ্কটে যে তাদের চিরচেনা অভ্যাস বদলে বাধ্য হয়ে কলা গাছ বা বিভিন্ন ঝোপে বাসা বানাচ্ছে। বাবুই পাখি প্রজননের এই সময়টায় পরেছে মহাবিপদে। কলা গাছের মত নিচু গাছে ঝুঁকি আছে জেনেও বাসা তৈরি করছে। এই বাসায় বাচ্চারা ঢিল মেরে তাদের ডিম নষ্ট করে দিচ্ছে সহজেই তবুও এই নিচু জায়গা ছাড়া আর তাদের উপায় নেই।