উত্তরপ্রদেশের ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য মহিলা কমিশনের সদস্যেরই
ফের নারী নির্যাতনের ঘটনায় তপ্ত উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh)। বদায়ুনে (Badaun) ৫০ বছরের মহিলাকে গণধর্ষণের (gang rape) পর খুনের মতো নৃশংস ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন খোদ জাতীয় মহিলা কমিশনের ( National Commission for Women) সদস্য চন্দ্রমুখী দেবী (Chandramukhi Devi)। তাঁর দাবি, নির্যাতিতা যদি অন্যের কথায় সন্ধের পর বাড়ির বাইরে না বেরতেন, কিংবা বেরলেও বাড়ির কোনও সদস্যের সঙ্গে থাকতেন, তাহলে এরকম ঘটনা হয়ত ঘটত না। তাঁর এই মন্তব্যে ইতিমধ্যেই সমালোচনার ঝড় বিভিন্ন মহলে।
নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে জাতীয় মহিলা কমিশন যে দুই সদস্যের দল পাঠিয়েছিল, তার মধ্য়ে একজন চন্দ্রমুখী দেবী। পরিবারের সঙ্গে দেখা করা ছাড়াও অকুস্থলটিও ঘুরে দেখেন তাঁরা। সব দেখেশুনে তাঁর মত, রাতের অন্ধকারে অন্যের কথায় প্রভাবিত হয়ে মহিলাদের বাড়ির বাইরে পা রাখা ঠিক নয়। এছাড়া ঘটনার সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, পুলিশ যদি সঠিক সময়ে তাঁদের কাজ করত, তাহলে নির্যাতিতাকে হয়তো বাঁচানো যেত। তিনি এও জানান যে অপরাধীরা আগে থেকে পরিকল্পনা করেই নির্যাতিতাকে মন্দিরে আসার জন্য ফোন করে।
গত রবিবার ৫০ বছর বয়সী ওই মহিলা সন্ধের পর একটি মন্দিরে যান। পরে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর একটি পা ভাঙা ও যৌনাঙ্গে ক্ষত চিহ্ন পাওয়া যায়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট (post mortem report) আসার পরই পরিষ্কার হয়ে যায় যে তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয় যে মন্দিরের পুরোহিত ও তার সঙ্গীরা মিলেই মহিলার উপর নির্যাতন চালিয়েছেন। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে দু’জনকে গেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও, মূল অভিযুক্ত মন্দিরের সেই পুরোহিত এখনও ফেরার।
নির্যাতিতা তাঁর পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন বলেও জানান চন্দ্রমুখী দেবী। ঘটনাটিকে অত্যন্ত জঘন্য (henious) আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন যে সরকার এই বিষয়ে খুবই কড়া মনোভাব পোষণ করে। কিন্তু তারপরেও এই ধরনের ঘটনা কি করে ঘটে সেই নিয়ে বিস্ময় প্রকাশও করেন তিনি। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে একটি রিপোর্টও চেয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) অপরাধীদের কঠিন শাস্তি দেওয়ার কথা বলেছেন। এই ঘটনায় একজন অপরাধীও যেন আইনের ফাঁক গলে বেরতে না পারে, তা দেখতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।