কৃষকদের পাশেই বাংলার সরকার, তথ্য দিয়ে বোঝালো তৃণমূল
দেশজুড়ে চলছে কৃষি আইনের (Farm Laws) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। কেন্দ্রের অনমনীয় আচরণের কারণে ভেস্তে গেছে কৃষকদের সাথে আলোচনা বৈঠক। এই প্ৰতিস্থিতিতে কৃষকদের মন জয় করতে আজ বাংলায় এক নতুন কর্মসূচি নিয়ে হাজির হয়েছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই আবহে আজ তথ্য দিয়ে তৃণমূল দাবি করল যে কৃষকদের পাশেই আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বাংলার সরকার।
রাজ্যসভায় তৃণমূলের (Trinamool) দলনেতা তথা জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’Brien )টুইট করে বলেন,
১. গত ছয় বছর ধরে এই কেন্দ্রীয় সরকারই বাংলাকে কৃষিকর্মণ পুরষ্কার দিয়েছে।
২. ভারতের অন্যান্য রাজ্যের কৃষকদের শস্য বীমার প্রিমিয়াম দিতে হয়। বাংলায় কৃষকদের কোনও অর্থ দিতে হয় না। রাজ্য সরকারই প্রিমিয়াম দিয়ে দেয়।
৩. ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু বর্তমান হারে ২০২৮ সালের আগে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে না। বাংলায় কৃষকের আয় তিনগুণ বেড়েছে। ২০১১ সালে ৯০,০০০ টাকা থেকে এখন তিনগুণ বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
৪. কৃষক বন্ধু প্রকল্পটি বাংলার সকল কৃষকদের জন্য, পিএম কিষান কেবলমাত্র ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য। কৃষক বন্ধুতে একর প্রতি ৫,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয় আর পিএম কিষানে একর প্রতি ১,২১৪ টাকা দেওয়া হয়। কৃষক বন্ধুর অধীনে ১৮-৬০ বছর বয়সী কৃষকের মৃত্যুর পর পরিবারকে ২ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়। পিএম কিষানে এই জাতীয় কোনও সহায়তা দেওয়া হয় না।
৫. বাংলার ৯২ শতাংশ (৫৫ লক্ষ) কৃষক কিষান ক্রেডিট কার্ড (Kishan Credit Card) পেয়েছেন।
৬. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কৃষকদের অধিকারের জন্য ২৬ দিনের অনশন করেছিলেন।
একুশের নির্বাচনের আগে কৃষকদের মন জয় করতে আগ্রহী সব দল। তৃণমূলের ভরসা গত ১০ বছরে রাজ্যের উন্নয়ন। কাজকে হাতিয়ার করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া যায় কিনা, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষায় বঙ্গবাসী।