হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে নিষিদ্ধ ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট, আশঙ্কায় বিজেপি নেতারা
বন্ধ হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) টুইটার অ্যাকাউন্ট। অথচ, আশঙ্কায় ভুগছেন ভারতের ‘সবচেয়ে বড়’ রাজনৈতিক দলের নেতারা। চমকপ্রদ হলেও এটাই সত্যি। আসলে, বিজেপি (BJP) নেতারা মনে করছেন, ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হওয়াটা অশনি সংকেত। যা টুইটারের মতো সংস্থাগুলির হাতে অগাধ ক্ষমতা থাকার ইঙ্গিত। বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি তেজস্বী সূর্য (Tejasvi Surya) মনে করছেন, দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রক একটি আইন এনে সংস্থাগুলির এই অগাধ ক্ষমতায় রাশ টানা উচিত। যাতে এভাবে যার তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ না করে দেওয়া হয়।
ক্যাপিটাল হিলের ঘটনার জেরে ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট চিরতরে মুছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, আগামী দিনে যাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আর হিংসায় উসকানি না দিতে পারেন তাই এই সিদ্ধান্ত। খানিকটা চমকপ্রদভাবেই টুইটার কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় এদিন সরব হলেন যুব মোর্চার সভাপতি তেজস্বী। টুইটে তিনি বললেন,” এটা আমাদের জন্য একটা সতর্কবার্তার মতো। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যদি এমনটা হয়, তাহলে সবার সঙ্গেই হতে পারে। এখন অনেকেই বুঝতে পারছেন না যে, এই বড় বড় অনিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তি সংস্থাগুলি আমাদের গণতন্ত্রের পক্ষেও ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যত দ্রুত এই সংস্থাগুলির নিয়ন্ত্রক আইনের ব্যাপারে ভাবা হবে, ততই আমাদের পক্ষে মঙ্গল। “
তেজস্বীর থেকেও বেশি আতঙ্কে যেন বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya)। নিজের টুইটে তিনি বলছেন,”এক জন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে এভাবে সরিয়ে দেওয়াটা একটা বিপজ্জনক নজির। ওঁর মতবাদের থেকেও এর নেপথ্যে রয়েছে অসহিষ্ণুতা। অথচ, যারা বাক স্বাধীনতা নিয়ে বড় বড় বুলি ঝাড়েন, তাঁরাই দেখছি, এতে বেশি খুশি হয়েছেন। বড় বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলির হাতেই এখন যাবতীয় ক্ষমতা।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিজেপি নেতাদের এই আশঙ্কা আসলে ট্রাম্পের জন্য নয়। বরং, তাঁরা নিজেদের নিয়ে ভয় পাচ্ছেন। কারণ, তেজস্বী সূর্য বা অমিত মালব্য যেই হন, সোশ্যাল মিডিয়ায় উসকানিমূলক ভাষণে রীতিমতো সুখ্যাতি আছে তাঁদের।