আইএসএলে দ্বিতীয় জয় ইস্টবেঙ্গলের
দলে একজনের আগমন। আর তাতেই যেন বদলে গিয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলের গোটা দলের চেহারা। তিনি আর কেউ নন, ব্রাইট এনোবাখারে। স্কোরবোর্ডে যদিও লাল–হলুদের গোলদাতার জায়গায় নাম রয়েছে মাত্তি স্টেইনম্যানের। কিন্তু সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে লাল–হলুদের ১-০ গোলে জয়ের কারিগর বলতে গেলে সেই নাইজেরিয়ান ব্রাইট। তবে বাদ দেওয়া যাবে না দেবজিতের অসাধারণ সেভগুলোকেও।
এদিন সকাল সকালই খুশির খবর পেয়ে যান লাল–হলুদ সমর্থকরা। এসসি ইস্টবেঙ্গলের আবেদনের ভিত্তিতে অধিনায়ক ড্যানি ফক্সের রেড কার্ড তুলে নেয় ফেডারেশন। ফলে রক্ষণে ফক্সকে পেতে কোনও সমস্যা হয়নি লাল–হলুদের। তবে ডাগ আউটে অবশ্য বসতে পারেননি রবি ফাউলার। যদিও তা সমস্যার কারণ হয়নি।
শনিবার ম্যাচের প্রথম থেকেই ব্রাইটের দিকে নজর ছিল সবার। কারণ শেষ দু’ম্যাচেই নিজের জাত চিনিয়েছেন নাইজেরিয়ান ফুটবলারটি। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। যার ফলস্বরূপ ২০ মিনিটেই গোলটি পেয়ে যায় লাল–হলুদ। আক্রমণের শুরুটা হয়েছিল ব্রাইটের পা থেকেই। তারপর অঙ্কিতের সেন্টার যায় নারায়নের পায়ে। তাঁর পাস থেকেই ছোট্ট টোকায় গোল করেন স্টেইনম্যান। এরপর প্রথমার্ধে আরও সহজ কয়েকটি সুযোগ চলে এসেছিল লাল–হলুদের কাছে। কিন্তু তা থেকে গোল করতে পারেনি রবি ফাউলারের ছেলেরা। তবে সুনীলদের সামনেও বেশ কয়েকটি সুযোগ এসে গিয়েছিল। তবে বেঙ্গালুরুও গোল করতে অক্ষম হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে ফের একবার পুরনো লাল—হলুদকেই দেখা যায়। এদিনও দেবজিৎ একাধিকবার দুর্গরক্ষা করেন। না হলে যেকোনও মুহূর্তে গোল হজম করতে পারত এসসি ইস্টবেঙ্গল। উলটোদিকে, স্কোরবোর্ডে নাম তুলতে পারতেন ব্রাইটও। কিন্তু একবার গুরপ্রীতকে কাটিয়েও বল জালে ঠেলতে ব্য়র্থ হন। তবে কথায় আছে যার শেষ ভাল তার সব ভাল। দিনের শেষে ব্রাইট যেমন ‘উজ্জ্বল’ পারফরম্যান্স করলেন, তেমনি একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ সেভ করে দেবজিৎ বনলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। সর্বোপরি রবি ফাউলার ডাগআউটে না থাকলেও আইএসএলে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। তিন পয়েন্ট পেলেও লাল-হলুদকে কিন্তু চিন্তায় রাখবে স্টেইনম্যানের চোট। দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে যেকারণে তাঁকে তুলে নেওয়া হয়।