রোগ নিরাময়ে নিমপাতার উপকারীতা
আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় নিমকে ধন্বন্তরীর জায়গা দেওয়া হয়েছে। শুধু নিম দিয়েই সারিয়ে নেওয়া যায় একাধিক রোগ। নিম কাঠে কখনো ঘুণ ধরে না। পোকা বাসা বাঁধে না। উইপোকা আসতে পারে না। নিমের এই গুনাগুণের কথা বিবেচনা করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে‘একুশ শতকের বৃক্ষ’ বলে ঘোষণা করেছে।
দেখে নেওয়া যাক রোগ নিরাময়ে নিমপাতার ১০ টি ব্যবহার:
১। ত্বকঃ
ত্বকের অনেক রোগেরই মোক্ষম ওষুধ নিম।মুখের কালো দাগ বা ব্রনের সমস্যা সবেরই সমাধান নিম। তাছাড়া ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও ব্যবহার করা যায় নিমপাতা।
২। কৃমি নাশকঃ
বেশিরভাগ বাচ্চারই কৃমি একটি সাধারণ সমস্যা। এই সমস্যার নিরাময় করতেও নিম পাতার জুড়ি মেলা ভার।
৩। চুলকানিঃ
চুলকানির সমস্যায় নিম পাতা খুবই প্রচলিত একটি ওষুধ। জলে নিমপাতা ফুটিয়ে সে জল দিয়ে স্নান করলে খুব সহজেই সেরে যায় চুলকানির মতো সমস্যা।
৪। দাঁতঃ
নিমের ডাল দিয়ে দাঁত মাজার প্রচলন ছিল সেই আদিকাল থেকেই। নিমের পাতা বা ছালের গুড়ো অথবা নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত মজবুত হয় এবং দাঁতের অনেক রোগ থেকেও নিষ্কৃতি পাওয়া যায়।
৫। রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেঃ
ডায়াবেটিক রোগীদের কাছে নিমপাতা জীবনদায়ী। রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে রোজ সকালে খালিপেটে খান নিমপাতার রস।
৬। চুলঃ
চুলের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে নিমপাতা চমৎকার কাজ করে। নিমপাতায় ফোটানো জল দিয়ে চুলের গোড়া ম্যাসাজ করলে মজবুত হয় চুল।
৭।ওজন কমাতেঃ
দেহের বাড়তি মেদ বিশেষ করে পেটের মেদ কমাতে রোজ খান নিম ফুলের রস। মোক্ষম কাজ দেবে।
৮। রক্ত পরিস্কার করেঃ
নিমপাতার রস রক্ত পরিস্কার করার সাথে সাথে রক্তের চলাচল বাড়িয়ে হৃৎপিণ্ডের গতিকে স্বাভাবিক রাখে।
৯। জন্ডিসঃ
জন্ডিস নিরাময়ে রোজ সকালে নিমপাতার রস মধুর সাথে মিশিয়ে খালিপেটে খান। খুব শিগগির সুফল পাবেন।
১০। ম্যালেরিয়াঃ
গ্যাডোনিন উপাদান সমৃদ্ধ নিম ম্যালেরিয়ার ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও নিমপাতা সিদ্ধ জল ঠাণ্ডা করে স্প্রে বোতলে রাখুন। প্রতিদিন ঘরে স্প্রে করলে মশার উপদ্রব কমে যাবে।