ব্যক্তিগত শোক ভুলে করোনার ‘হিরো’ এই দুই আধিকারিক
আশরাফ আলী, ভোপাল মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন এর স্যানিটেশন এর বিভাগের অফিসার ইন চার্জ। ইরফান খান, ডাটা ম্যানেজার, এইমস ভোপাল এর Integrated Disease Surveillance Program (IDSP) বিভাগ। আপাত দৃষ্টিতে দুই সাধারণ আমলা হলেও এই লকডাউনে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন এঁরা।
গত বুধবার সকাল ৮ টায় আশরাফ আলীর মা মারা যান। তা সত্ত্বেও উনি অফিসে এসে কাজ করেন। তারপর দুপুরে বাড়ি যান মায়ের কবর দিতে। পরে ফিরে এসে আবার অফিসে কাজে যোগ দেন তিনি। ওনাকে জিজ্ঞেস করা হয় কেনো এটা করলেন? আপনি তো ছুটি নিতে পারতেন, প্রাপ্য আপনার।
উনি উত্তর দেন, মায়ের তো মারা যাওয়ারই বয়স। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে দেশ যে কঠিন পরিস্থিতি এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সেখানে ক্লিনিং এখন একটা ইমারজেন্সি ডিউটি। তাই দেশের প্রতিও আমার কর্তব্য বোধ আছে। সেটা করাটাও জরুরি।
ইরফান আলি অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন সোমবার নিজের বাইকে। ওনার অ্যাকসিডেন্ট হয়। কলার বোন ভেঙে যায়, সাথে ডান হাত ফ্র্যাকচার হয়। ডাক্তাররা বাড়িতে কমপ্লিট রেস্টে থাকতে বলেন। সেই নির্দেশ অগ্রাহ্য করে পরের দিন আবার অফিসে আসেন হাসপাতাল থেকেই। ওনাকে জিজ্ঞেস করতে উত্তর দেন, “দিস আর এক্সট্রা অর্ডিনারি টাইমস, এই করোনা ভাইরাস এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে।”
প্রসঙ্গত, ৩৪ টা জেলার করোনা ভাইরাস আক্রান্ত লোকদের ডাটা এন্ট্রির হেড ইরফান খান। সিটি মিউনিসিপ্যাল কমিশনার বিজয় দত্ত তাদেরকে ট্রু হিরো আখ্যা দেন।