মুর্শিদাবাদের ছানাবড়া ভালোবাসতেন স্বামীজী
আহারবিলাসী ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ (swamy Vivekananda)। তবে মিষ্টান্নপ্রীতি তাঁর কোনওকালেই ছিল না। তা বলে কি তিনি মিষ্টি খেতেন না? আলবাৎ খেতেন। রসগোল্লা খাওয়ার টানেই তো পরমহংসের কাছে গিয়েছিলেন নরেন। এ ছাড়া নাকি মাঝেমধ্যেই ছানাবড়া, মালপোয়া, লাড্ডুও খেতেন। বিশেষত মুর্শিদাবাদের ছানাবড়ার প্রতি তাঁর একটা দুর্বলতা ছিল বলেও জানা যায়।
সেটা ১৮৯৮ সাল। তখন নবাবের শহরে ছানাবড়ার স্বর্ণযুগ। বহরমপুরে এসেছিলেন স্বামীজির সর্বক্ষণের সঙ্গী স্বামী অখণ্ডানন্দ। বেলুড়ে ফেরার সময় তিনি কিনে ফেললেন এক মণ চোদ্দ সের ওজনের দু’টি বিশালাকার ছানাবড়া (Chhana Bara)। অর্থাৎ প্রায় ৫৫ কেজি! তা দেখে চোখ ‘ছানাবড়া’ হয়ে গিয়েছিল স্বয়ং স্বামীজির। সম্ভবত নবাবি শাসনের শেষের দিকে উৎপত্তি ঐতিহ্যবাহী এই মিষ্টির। মুর্শিদাবাদ শহরে ছোট্ট একটা মিষ্টির দোকান তৈরি করলেন নিমাই মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি।
কথিত রয়েছে, তাঁর দোকানের ছানাবড়া নিয়মিত নবাবের প্রাসাদে যেত। দৈত্যকার ছানাবড়া শোভা পেত অতিথিদের থালাজুড়ে। কুইন্টালের কাছাকাছি ওজন। ‘চোখ ছানাবড়া’ কথাটির উৎপত্তি নাকি এখান থেকেই। পরবর্তীতে এই মিষ্টি আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সৈদাবাদের পটল সাহা ও গোপেশ্বর সাহার হাতে।
কাশিমবাজারের রাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দীর হাত ধরে ছানাবড়ার সুনাম মুর্শিদাবাদের গণ্ডি পেরিয়ে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল।