বিজেপির সব প্রকল্পই বাস্তবে জুমলাঃ তৃণমূল

বিজেপি সরকারের কিছু কর্মসূচির কথা তিনি তুলে ধরেন যেগুলি নিয়ে বিজেপি প্রচার করলেও আসলে কাজের কাজ কিছু হয়নি।

January 15, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

আজ তৃণমূল ভবনে (Trinamool Bhawan) সাংবাদিক সম্মেলন করেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy)। তিনি নজিরবিহীন দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar Scheme) কর্মসূচির সাফল্য তুলে ধরেন। এই কর্মসূচীতে মানুষের বিপুল জনসমর্থন দেখে বিজেপি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে বলে তিনি কটাক্ষ করেন। এজন্যই বিজেপি তাদের সোশ্যাল ও অ্যান্টিসোশ্যাল সাইটে অপপ্রচার চালাচ্ছে এই কর্মসূচির বিরুদ্ধে। বাংলায় বিজেপির নিজস্ব কোনও কর্মসূচি নেই, তৃণমূলকে গালাগাল দেওয়া ছাড়া। তিনি বলেন, বিভিন্ন দল থেকে কিছু দাগি লোকদের নিয়ে বিজেপি দলটা দাগি দলে পরিণত হয়েছে। তৃণমূলের মানুষের কাজ ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে লক্ষ্য নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দুটোই লক্ষ্য শান্তি ও প্রগতি। মানুষের দুয়ারকে যারা যমের দুয়ার বলেন, তাদের থেকে সাবধান থাকতে বলেন সুখেন্দু শেখর রায়।

বিজেপি সরকারের কিছু কর্মসূচির কথা তিনি তুলে ধরেন যেগুলি নিয়ে বিজেপি প্রচার করলেও আসলে কাজের কাজ কিছু হয়নি। তিনি বলেন, বিজেপির সব প্রকল্পই বাস্তবে জুমলা। যেমন ২০১৪ সালে ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদী সকলকে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেবে বলেছিল যা পড়ে এক টিভি চ্যানেলে অমিত শাহ স্বীকার করে তা ছিল একটি জুমলা।
২০১৫ সালে চালু হওয়া বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল মেয়েদের বড় করা ও স্বনির্ভর করা। কিন্তু বাস্তবে তা বেটি পিটাও, বেটি মিটাওতে পরিণত হয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে গনধর্ষণ ও হত্যা রোজকার ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক কিছু উদাহরণ তিনি তুলে ধরেন। কাশী বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে রাতে পুলিশ ঢুকে মেয়েদের মারধোর করে। হাথরাসে গণধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। সেখানে সাংবাদিক ঢুকতে গেলে সেই মহিলা সাংবাদিককে ২২ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। এরপর একইরকম পৈশাচিক ঘটনা ঘটে বলরামপুর ও বাদায়ুনে।

নোটবন্দী করার সময় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৬ মাসের মধ্যে এর সুফল না পেলে তাঁকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে শাস্তি দিতে। এর ফলে দেশের জিডিপি ২ শতাংশ কমে যায়। ৯৯ শতাংশ টাকাই ব্যাঙ্কে ফিরে আসে। ১৫ লক্ষ মানুষ কাজ হারান। লাইনে দাঁড়িয়ে ১০০র বেশি মানুষ মারা যায়। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী শাস্তি নিতে আসেন নি।
মুদ্রা প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ২০ শতাংশ টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে ২০১৮র তুলনায় ২০১৯এ এনপিএ দ্বিগুণ হয়েছে। সরকারি ব্যাঙ্ককে বাধ্য হয়ে জামানত মুক্ত মুদ্রা ঋণ দিতে হচ্ছে।

স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পে সরকারি নথিতে বলা হচ্ছে দেশের ৭১ শতাংশ শৌচালয় নির্মিত। কিন্তু, বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে সম্প্রতি উন্মুক্ত স্থানে শৌচ কর্ম করতে গিয়ে দুই শিশু মারা যায়। আইনত নিষিদ্ধ হলেও আজও প্রতি পাঁচ দিনে গড়ে একজন সাফাইকর্মী মারা যান।

২০১৬ সালে উজ্জ্বলা যোজনা শুরু হয়। লক্ষ্য রাখা হয় ৫ কোটি পরিবারে এলপিজি পৌঁছে দেওয়া। এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ মানুষও পায়নি। এই খাতে দেওয়া ভর্তুকিকে জনতার ঋণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। কিন্তু, যাদের এটা দেওয়া হচ্ছে, তাদের কেউ সিলিন্ডার আর রিফিল করাতে পারছে না। ২০১৮ সালে গড় রিফিল হয় বছরে তিনটে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen