ডুবে যান কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে, রায়মাটাং উপেক্ষা করতেই পারবেন না
এবারের শীত প্রায় শেষ প্রান্তে। বাঙালির মন আবার উড়ু উড়ু। বেড়াতে যাওয়ার এই তো সময়। অন্যবার হলে এতদিনে প্ল্যান-প্রোগ্রাম হয়েও যেত। কিন্তু করোনাকালে সবই ভেস্তে গিয়েছে। এখন আবার নিউ নর্মাল। তাই বেড়াতে যাওয়ার আগেই হাজার একটা কথা ভাবতে হবে। কোথায় একটু নির্জনতা পাওয়া যাবে, সেটা সবার আগে খেয়াল রাখতে হবে।
নির্জনতার ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের অফবিট ডেস্টিনেশনের জুড়ি মেলা ভার। যেখানে প্রকৃতির কোলে নিশ্চিন্তে আশ্রয় নেওয়া যায়। মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। মাথার উপরে নীল আকাশ উপভোগ করা যায়। নরম ঘাসের বিছানায় শুয়ে পড়ে আলসেমির আভিজাত্য উপভোগ করা যায়। এমন ঠিকানার সন্ধানে থাকলে এবার পুজোয় আপনার ঠিকানা হতেই পারে উত্তরবঙ্গের রায়মাটাং (Raimatang)।
কয়েক বছর আগেই সুন্দরী রায়মাটাংকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আলিপুরদুয়ার থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে বক্সা টাইগার রিজার্ভের পশ্চিমে অবস্থিত পাহাড়ে ঘেরা এই ছোট্ট গ্রামটি। রায়মাটাং নদী পেরিয়ে যেতে হয়। ওয়াচ টাওয়ার থেকে উপভোগ করা যায় এর সৌন্দর্য। সবুজ বন, পাইন গাছের সারি, আঁকাবাঁকা পাহাড়ি নদী, ঢেউ খেলানো বিস্তৃত চা বাগান, আর চারদিকে আকাশের পানে চেয়ে থাকা পাহাড়। নিজের সমস্ত ভালবাসা উজার করে রায়মাটাংকে দিয়েছে প্রকৃতি।
আছে ইবিসবিল, রেড স্টার, ব্ল্যাক স্টর্কের মতো পাখি। অজস্র পাখির সাম্রাজ্য রায়মাটাং। নদীতে আবার হাতির দল জল খেতে আসে। এছাড়াও দেখা মিলবে প্রচুর প্রজাপতির। শহুরে কোলাহল থেকে অনেকটা দূরে প্রকৃতির কোলে সময় কাটাতে চাইলে চলে যেতেই পারেন রায়মাটাং। যাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় শীতকাল। হদিশ তো রইলই। শুধু চাই একটা পারফেক্ট প্ল্যানিং। শরীর ও মনকে ঠান্ডা করার মোক্ষম দাওয়াই এবার একসঙ্গে আপনার নাগালের মধ্যেই।