‘‌বনমন্ত্রীর মুখ–মুখোশ আলাদা’‌, রাজীবকে আক্রমণ কল্যাণের

তিনি ‘বেসুরো’ ছিলেন। সম্প্রতি ১৬ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন।

January 22, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

তিনি ‘বেসুরো’ ছিলেন। সম্প্রতি ১৬ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তা নিয়ে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। হ্যাঁ, তিনি রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়(Rajib Banerjee)। এবার তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন হাওড়া জেলা পরিষদের মেন্টর কল্যাণ ঘোষ(Kalyan Ghosh)। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তিনি রাজীবকে নিশানা করে অভিযোগ করেন, ডোমজুড়(Domjur) বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে সেচমন্ত্রী হওয়ার পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজে লেগে পড়েন। প্রকৃত তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) কর্মীদের কোণঠাসা করে তাঁদের মারধর এবং বিভিন্ন মিথ্যে মামলায় ফাঁসান! এলাকায় নিজের পছন্দমতো লোকেদের নিয়ে বলয় তৈরি করেছেন মন্ত্রী। এমনকী পুকুর ভরাট, বেআইনি নির্মাণ, তোলাবাজি–সহ নানা অবৈধ কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন।

এই অভিযোগ করার পর হাওড়া(Howrah) জেলা তৃণমূল কংগ্রেস আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এখন তৃণমূল কংগ্রেসেই আছেন। আর কল্যাণ ঘোষও হাওড়ার দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি এই ধরনের মন্তব্য করায় দলের মধ্যে দুটি গোষ্ঠী দেখা দিয়েছে। কল্যাণ ঘোষ বলেন, ‘‌রাজীববাবু সেচমন্ত্রী থাকাকালীন বালি তোলা থেকে রাজ্যের কোষাগারে রাজস্ব সবচেয়ে কমে যায়। বালি মাফিয়াদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এই অবস্থা হয়েছিল। ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য এমন বেআইনি কাজ করেছিলেন। নিজের আত্মীয়দের পাকা সরকারি চাকরি দিয়েছেন। অথচ এলাকার কয়েকটি ছেলেকে চুক্তির চাকরি দিয়েছেন।’

উল্লেখ্য রাজনৈতিক মহলের মত, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসেবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ডোমজুড় কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অফিশিয়াল প্রার্থী কল্যাণ ঘোষকে হারিয়ে দেয়। দলের প্রার্থীকে হারিয়ে দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী রাজীবকে সেচ দফতর থেকে সরিয়ে অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়নদফতরর মন্ত্রী করেন। কল্যাণ ঘোষ বলেন, ‘‌দল থেকে চলে যেতে পারতেন। তা না করে হাতে–পায়ে ধরে দলে থেকে গেলেন। মন্ত্রী হয়ে কাজের সুযোগ পেয়েও কিছু করেননি।’‌

তাঁর অভিযোগ, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তলে তলে বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া করে চলছেন। বনমন্ত্রীর মুখ ও মুখোশ আলাদা। তিনি দেখতে ভালো এবং মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন। তাই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। দলের ক্ষতি করছে, দলকে ব্ল্যাকমেল করছেন। তবে তিনি বিজেপি থেকে দাঁড়ালে ডোমজুড় কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা তাঁকে যোগ্য জবাব দেবেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen