কলকাতা সহ দেশের চারপ্রান্তে চারটি রাজধানী করা হোকঃ মমতা
আজ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর(Netaji Subhash Chandra Bose) ১২৫তম জন্মদিন। আগেই এই দিনটি ‘দেশনায়ক দিবস’(DeshNayak Dibas) হিসেবে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন ১২.১৫ মিনিটে শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে নেতাজী জন্মজয়ন্তীতে মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রা শুরু হয় শ্যামবাজার(Shyambazar) থেকে। যা দুপুর দেড়টা নাগাদ রেড রোডে(Red Road) সুভাষচন্দ্রের মূর্তির পাদদেশে এসে পৌঁছায়।
সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নেতাজির পরিবার আমাদের সকলের কাছে শ্রদ্ধেয়। নেতাজি সুভাষ বসুকে জিন্দাবাদ সব ভাষাতেই বলে। ইংরেজদের নীতি ছিল বিভাজনের। নেতাজি তা ভেঙে দিতে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা তুলে ধরেছিলেন। আমরা সেটাই অনুসরণ করি। তিনি সংহতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। আজাদ হিন্দ বাহিনীতে(Azad Hind Fauj) সকলে ছিল। তিনি বিভেদ করতেন না।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্র আজও এই দিনকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেনি। আমরা এর প্রতিবাদ করি। নেতাজির জন্মদিন আমরা জানি। কিন্তু কীভাবে তিনি মারা গেলেন? জানি না। আমরা চাই কেন্দ্র নেতাজি সংক্রান্ত সমস্ত ফাইল প্রকাশ করুক। নেতাজির তৈরি প্ল্যানিং কমিশন(Planning Commission) তুলে দিয়েছে কেন্দ্র। আজ কেন্দ্র রাজ্যের সঙ্গে কোনও কথা বলে না, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো নষ্ট করা হচ্ছে। আমরা দাবী জানাই, প্ল্যানিং কমিশন ফিরিয়ে দিতে হবে। কেন নেতাজির নামাঙ্কিত কলকাতা বন্দরের নাম পাল্টানো হল?
তিনি কেন্দ্রের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার রাজনীতিকে ধিক্কার জানিয়ে বলেন, ওয়ান নেশান, ওয়ান লিডার চলবে না। দেশের চারপ্রান্তে চারটি রাজধানী করা হোক। বছরের চারটে সংসদের অধিবেশন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে করা হোক। কলকাতাকে এই চারটের একটা করা হোক।
তিনি প্রশ্ন করেন, এই মুহূর্তে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে নতুন সংসদ ভবন তৈরি করার কী দরকার ছিল? হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে বিমান কেনার কী দরকার ছিল? নেতাজির জন্মদিন দেশপ্রেম ও দেশনায়ক দিবস কেন হবে না? রবীন্দ্রনাথ নেতাজিকে প্রথম দেশনায়ক আখ্যা দেন। অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথের জন গণ মনকে নেতাজি স্বীকৃতি দেন জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে।
তিনি বলেন, আমরা নিজেদের টাকায় আজাদ হিন্দ মনুমেন্ট তৈরি করবো। নেতাজির ও স্বামীজির লেখা বই পাঠ্যক্রমে বাধ্যতামূলক করা হবে।