২৫তম যাত্রা উৎসবের সূচনা হল বাগবাজারের মঞ্চে
পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা আকাদেমি ও তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে সোমবার সন্ধ্যায় একমাসব্যাপী ২৫তম যাত্রা উৎসবের সূচনা হল বাগবাজার (Bagbazar) ফণীভূষণ বিদ্যাবিনোদ যাত্রামঞ্চে। চিরাচরিত প্রথা মেনে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং ঘণ্টা বাজিয়ে এই উৎসবের সূচনা করেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। তিনি তাঁর ভাষণে যাত্রার নানান ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেন। শ্রীচৈতন্যদেবের আমল থেকে কীভাবে এই যাত্রার ধীরে ধীরে বিবর্তন ঘটেছে, তার কথা তিনি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গ্রামবাংলায় আজও যাত্রার প্রতি মানুষের একটা প্রবল টান রয়েছে। আর সেই কারণে যাত্রাশিল্পের পরিসরও ক্রমশ বাড়ছে। সুব্রতবাবু বলেন, এ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই শিল্পের প্রভূত অগ্রগতি ঘটেছে।
আমরা চাই, এই শিল্পের আরও উত্তরণ ঘটুক। পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা আকাদেমির সভাপতি তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas) বলেন, এই শিল্প একসময় ভাটায় চলে গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই শিল্পের মরা গাঙে জোয়ার এসেছে। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে এই শিল্পে কিছুটা আঘাত এলেও আগামী দিনে সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে এই শিল্প ফের স্বমহিমায় মাথা তুলে দাঁড়াবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন (Indranil Sen) সহ যাত্রাজগতের নানা দিকপাল ব্যক্তিত্ত্ব। পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা সম্মেলনের সভাপতি সমীর সেন ও যুগ্ম সম্পাদক রূপকুমার ঘোষ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বিধি নিষেধ মেনেই চলবে এই যাত্রা উৎসব। প্রতিদিনই হলে টিকিট পাওয়া যাবে। তাঁরা বলেন, এদিন যাত্রাশিল্পের নানান অবদানের জন্য মোট ১০ জনকে বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করা হয় সরকারি তরফে।