হরিনাভিতে দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতেই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে
ভোটের ঠিক আগে বার বার গোষ্ঠীদ্বন্দ প্রকাশ্যে চলে আসায় খুব স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি।

আবার গোষ্ঠীদ্বন্দ বিজেপির অন্দরমহলে। এইবার হরিনাভিতে। তাও আবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সামনেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় মোতায়েন পুলিস। আগামীকালের মধ্যে দলের জেলা নেতৃত্বকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি। ঘটনাস্থল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর।
ঘটনার সূত্রপাত্র এদিন সন্ধেবেলায়। সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা এলাকায় বিজেপি নতুন নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করে যান বিজেপির রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ততক্ষণে এলাকায় ভিড় জমিয়েছেন দলের বহু কর্মী-সমর্থকরা। শেষপর্যন্ত দরজায় ফিতে কেটে দিলীপ ঘোষ যখন কার্যালয়ে ভিতরে ঢোকেন, তখনই ঘটে বিপত্তি। কেন? বিজেপি সূ্ত্রে খবর, রাজ্য় সভাপতি সঙ্গে নতুন কার্যালয়ে কে আগে ঢুকবে, তা নিয়ে দলেরই দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। সেই ঝামেলাই হাতাহাতি, এমনকী মারামারিতে গড়ায়। খবর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। দুই পক্ষে বুঝিয়ে সুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি বিশেষ। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যে দীর্ঘক্ষণ পার্টি অফিসের দরজায় তালা ঝুলিয়ে রাখতে হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস।
জানা গিয়েছে, বাইরে যখন দলেরই কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলা চলছে, তখন পার্টির অফিসের দোতলায় ছিলেন দিলীপ ঘোষ। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘দলেরই কেউ যদি গন্ডগোল করে থাকে, তাহলে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়া হবে। কোনওরকম বিশৃঙ্খলতা বরদাস্ত করা হবে। কালকের মধ্যে জেলা নেতৃত্বকে ব্য়বস্থা নিতে বলেছি।’
এর আগে ২১ শে জানুয়ারি বিজেপির (BJP) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পশ্চিম বর্ধমান। জেলা বিজেপি কার্যালয়ে আদি এবং নব্য কর্মীদের মধ্যে ইটবৃষ্টি পর্যন্ত হয় সেদিন। তারপর মুহূর্তের মধ্যে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি গাড়িতেও। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এমনকী বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনার পরে, জেলা সভাপতিসহ ১৪ জন কর্মীকে শোকজ করে বিজেপির রাজ্য দপ্তর।
ভোটের ঠিক আগে বার বার গোষ্ঠীদ্বন্দ প্রকাশ্যে চলে আসায় খুব স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি।