১৩ই ফেব্রুয়ারি তৃণমূলের নাট্য কনভেনশন
রাজ্যসভায় বা লোকসভায় কখনো থিয়েটারের কোন লোক স্থান পাননি। স্বাধীনতার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Mamata Banerjee) প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি আন্দোলনের জঠোরের লোকজন সে নাটকেরই হোক বা গানের, লোকসভা বা রাজ্য সভায় পাঠিয়েছেন। ২০১১ থেকে ২০২০ অবধি রাজ্য সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর শুধু থিয়েটারের জন্যেই ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এইভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করলেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব এবং তৃণমূল সরকারের একজন বিধায়ক এবং একজন সাংসদ ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) ও অর্পিতা ঘোষ (Arpita Ghosh)।
এর সাথেই বেশ কিছু বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব আজ তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের সামনে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নিলেন।
দেখা যাক সাংবাদিক বৈঠকে কি বললেন এই দুই নেতাঃ
• আমরা শিল্পীরা যতবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গেছি, তিনি প্রতিবার আমাদের আবেদন শুনেছেন।
• পর পর দুবছর ৪০০ নাটকের দল ৫০, ০০০ টাকা করে রাজ্য সরকারের গ্র্যান্ড পাচ্ছে। যেটা দেশেই একটা রেকর্ড।
• মুখ্যমন্ত্রীর এই ভাবনায় অনুপ্রাণিত হয়ে আজ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব শেখর সমাদ্দার, বিজয় মুখোপাধ্যায়, অনীশ ঘোষ গৌতম মুখোপাধ্যায়, আশীষ চট্টোপাধ্যায় সহ আরো অনেকে। এদের মধ্যে অনেকেই কলকাতার বাইরের জেলাগুলিতে নাট্য চর্চা করেন।
• বিজেপি সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসে শিল্পের বহু গ্র্যান্ড বন্ধ করেছেন। বাংলা সংস্কৃতিকে বিকৃত করার বিজেপির প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন শিল্পীরা। বাম আমলেও শিল্পীরাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন।
• মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিল্প সংস্কৃতির জন্যে যা করেছেন, ৩৪ বছরের বাম আমলে তার কিছুই হয়নি।
• বিজেপিকে আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলছি একজন গুরুত্বপুর্ন থিয়েটার ব্যক্তিত্বকে আপনাদের দলে নিয়ে গিয়ে দেখান। অনেকেই সুযোগের লোভে যাচ্ছে, তাদের সামনে এসে আপনাদের দলের পতাকা তুলে নিতে বলুন। সেটা তারা করবে না।
• সব থিয়েটারের মানুষরা সামনে এসে লড়াই করে। আমরা কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় জেলায় কনভেনশন করব। আগামী ১৩ ই ফেব্রুয়ারী শুরু হচ্ছে সেই কনভেনশন।
এছাড়াও বিধায়ক ব্রাত্য বসু এদিন রাজ্য সরকারের কিছু জনকল্যাণমূলক কাজের খতিয়ানু তুলে ধরেনঃ
• দুর্গা পুজোর ফলে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে।
• রাজ্য সরকারের তন্তুজ গত অর্থ বর্ষে ১৪ কোটি টাকা লাভ করেছে।
• স্বনির্ভর সংস্থাগুলিতে লক্ষ লক্ষ মহিলা কাজের সুযোগ পেয়েছেন।