১ ফেব্রুয়ারি থেকে হচ্ছে না রেশন ধর্মঘট, স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ
‘সারাবাংলা রেশন বাঁচাও যৌথ মঞ্চে’র হুমকিতে অবশেষে খাদ্যমন্ত্রী আলোচনায় বসতে বাধ্য হলেন। গতকাল ওই মঞ্চের নেতৃত্বদের সঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী আলোচনায় বসেন, তাঁদের দাবি-দাওয়া সম্পর্কে যতদূর সম্ভব তাড়াতাড়ি বিচার বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। সেই আশ্বাস পেয়ে আন্দোলনকারীরা তাঁদের পদক্ষেপ থেকে সরে দাঁড়ান। সারাবাংলা রেশন ডিলারদের (Strike) অভিযোগ ছিল, অন্যান্য রাজ্যে কুইন্টাল প্রতি যে কমিশন দেওয়া হয়। তার থেকে বহু গুণ কম দেওয়া হয় পশ্চিমবাংলায়। যেখানে মহারাষ্ট্রে ২৫০ টাকা, গোয়ায় ২০০ টাকা, দিল্লিতে ২০০ টাকা ,কেরলে ১৩০ টাকা দেওয়া হয়। সেখানে পশ্চিমবাংলায় মাত্র ৮৭ টাকা কুইন্টাল প্রতি কমিশন ধার্য করেছে সরকার।
রেশন ডিলারদের অভিযোগ, তাঁরা সঠিকভাবে নিজেদের রুজি জোগাড় করতে পারছেন না। তাঁদের আরও অভিযোগ যেখানে ৮৭ টাকা কমিশন কুইন্টাল প্রতি ধার্য । সেখানে মাত্র কুইন্টাল প্রতি ৭০ টাকা, সরকার তাঁদের দিচ্ছে। রেশন ডিলারদের দাবি গুলি হল, বাস্তব সম্মত পর্যাপ্ত কমিশন দিতে হবে,সঠিক ডোর স্টেপ ডেলিভারি, সঠিক ঘাটতি প্রদান, ইউনিটে সমতা সহ পিডিএস কন্ট্রোল অর্ডারে সময়ানুগ সংশোধনী ইত্যাদি করতে হবে। তাঁদের আরও দাবি, ওই সমস্ত বিশেষ সমস্যার কোনও সমাধান না দিয়ে ফ্রি – রেশন পরিষেবা নাকি তাঁদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
১৮ জানুয়ারি খাদ্য ভবনের সামনে এই দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন রেশন ডিলাররা। হুমকি দিয়েছিলেন, পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে সারা বাংলায় রেশন ব্যবস্থা (Ration) স্তব্ধ করে দেওয়া হবে। এখনও করোনা আবহ চলছে। সেখানে নির্বাচনের মুখে এই ধরনের হুমকি স্বভাবতই সরকারকে নাড়িয়েছে। মঞ্চের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিখিলেশ ঘোষ জানান, ১ ফেব্রুয়ারি সোমবার থাকার জন্য, রেশন ডিলারদের ছুটির দিন । সে দিন কোনও পদক্ষেপ নেওযা হচ্ছে না । মন্ত্রী তাঁদের সমস্যার কথা শুনেছেন।মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি । তাঁদের পাওনা কমিশন থেকে আদায়ের ব্যবস্থা করে দেবেন। যদি পাওনা আদায় না হয়, তা হলে রেশন ব্যবস্থা চালু রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা।