নাগরিকদের সুরক্ষায় রক্ষাকবচ সহ চারটি নতুন প্রকল্প কলকাতা পুলিশের
তদন্তে অগ্রগতি আনতে কলকাতা পুলিশের মাসিক কনফারেন্সে নগরপাল অনুজ শর্মা চারটি নাগরিক বান্ধব প্রকল্পের সূচনা করলেন আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সে।
যত দিন যাচ্ছে সাইবার অপরাধের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, পাশাপাশি করোনাকালে অনলাইনে আর্থিক লেনদেন বেড়ে যাওয়ার ফলে নিমেষেই ব্যাঙ্কে গচ্ছিত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকেরা। সেই কারণে রক্ষাকবচ নামক একটি প্রকল্পের সূচনা হল। রক্ষাকবচ-কলকাতা পুলিশের একটি সচেতনতামূলক প্রকল্প। যাতে বেশি সংখ্যায় জনগণের কাছে পৌঁছনো যায়, অনলাইন প্রতারণার শিকার না হন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে, হাউসিং সোসাইটিতে, গুরুত্বপূর্ণ নানা জায়গায় সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হবে।পুলিশের পাশাপাশি সেখানে এনজিও ও প্রণামের সদস্যরা অংশ নেবেন। প্রতিটা মানুষকে জানানো হচ্ছে ওটিপি, ব্যাংকের তথ্য সকলকে না দেওয়া। এইরকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রচার চলবে। পাশাপাশি সাইবার অপরাধের দ্রুত কিনারা করার জন্য কলকাতা পুলিশের প্রতিটি ডিভিশনে সাইবার ল্যাবরেটরি চালু করা হলো শুক্রবার থেকে।
এতদিন গোয়েন্দা বিভাগের অধীনে একটি সাইবার থানা সাইবার সংক্রান্ত তদন্তের খুঁটিনাটি দেখতো। এবার থেকে কলকাতার ৯টি ডিভিশনে এই সাইবার ল্যাবরেটরিতে তদন্তের খুঁটিনাটি বিষয় তারা দেখবে। সেখান থেকে যা যা তদন্ত সম্পর্কিত তথ্য উঠে আসবে তারা সাইবার পুলিশকে জানাবে,ফলে দ্রুত সাইবার অপরাধের কিনারা করা সম্ভব বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। এই ল্যাবরেটরীতে সাইবার বিশেষজ্ঞরা পুলিশকেও সাইবার সংক্রান্ত নানা ট্রেনিং দেবেন। সাইবার অপরাধের দ্রুত কিনারা করার কাজ চালানো হবে ল্যাবরেটরি গুলির মাধ্যমে।
অন্যদিকে নারী সুরক্ষা ও নিখোঁজ মানুষের সন্ধানে আলাদা দুটি পৃথক প্রকল্প চালু করা হয়। বর্তমানে মহিলারা যে সাইবার অপরাধের শিকার হন, তা দ্রুততার সঙ্গে জানানোর জন্য এবং তার দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হল মহিলাদের জন্য বিশেষ সাইবার হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে।
সন্ধান নামক প্রকল্পের মাধ্যমে- কলকাতায় যে সমস্ত নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন এখনও, এমন ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় কলকাতা পুলিশের উদ্যোগ।