এই বাজেট বিভ্রান্ত, দিশেহারা, সব বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র: অমিত মিত্র
সাধারণ বাজেট(General Budget) দিশেহারা বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র(Dr Amit Mitra)। তাঁর কথায়, এই বাজেটে উপেক্ষিত সাধারণ মানুষ। সব বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র।
অমিত মিত্র বলেন এই বাজেটটাকে পেপারলেস বাজেট(Paperless Budget) বলা হচ্ছে। কিন্তু এটা পেপারলেস না, এটা একটা দিশাহীন এবং বিভ্রান্ত বাজেট। সারা পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে শুধু ভারতবর্ষের সরকার ডিমান্ড স্টিমিউলেশনের(Demand Stimulation) দিকে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেনা, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, শুধু সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করার লক্ষ্যে এই কেন্দ্রীয় বাজেট – রেল(Railway), বিমানবন্দর(Airport), এয়ার ইন্ডিয়া(Air India), বন্দর(Port), রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, এলআইসি-র আইপিও – সব বিক্রি করার চক্রান্ত চলছে।
তিনি বলেন যে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ৬৪,০০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে, কিন্তু তার পরেই ‘অস্বথামা হত, ইতি গজ’-র মতো আস্তে করে বললেন, “৬ বছরে”। পশ্চিমবঙ্গ সরকার করোনা মোকাবিলায় খরচ করেছে ৪,০০০ কোটি টাকা, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে রাজ্য পেয়েছে মাত্র ২৭৯ কোটি টাকা, জানান রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। তিনি আবারো জানান যে আমফান পরবর্তী সময়ে যখন বাংলার প্রয়োজন ছিলো ৩৫,০০০ কোটি টাকা, যার তালিকা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছিলো, বাংলাকে কেন্দ্র দিয়েছে মাত্র ২,২৫০ কোটি টাকা।
অমিত মিত্র আজ বলেন যে ভোট এসে গেছে বলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে বাংলায় নাকি তারা ৬২৫ কিলোমিটার রাস্তা বানাবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গত ১০ বছরে বাংলায় ৮৮,৮৪৮ কিলোমিটার রাস্তা বাংলায় তৈরি হয়েছে, যা ২০১১ পূর্ববর্তী সময়ে ছিলো মাত্র ৩৯,৭০০ কিলোমিটার।
রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেন যে কোনও বিশেষ নতুন পদক্ষেপই নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। কৃষি ক্ষেত্র থেকে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প বা অসংগঠিত ক্ষেত্র (যা ভারতবর্ষের ৯৩% মানুষের কর্মসংস্থান করে) – বাজেটে একটা উল্লেখ পর্যন্ত নেই! তিনি বলেন যে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে গুজরাটের মতো বড়লোক রাজ্যের থেকে অনেক অনেক বেশি কাজ করেছে বাংলা, বলেছে কেন্দ্রীয় সরকারেরই সাম্প্রতিক তথ্য।