আগামী রবিবার, ৫ এপ্রিল.. ফের বিশেষ ঘোষণা মোদীর
আগামী রবিবার ৫ এপ্রিলের জন্য ফের বিশেষ ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে দেশ জুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাই শুক্রবারের ভিডিও বার্তার দিকেও তাকিয়ে ছিল দেশবাসী।
এদিন সকাল ৯টায় সেই ভিডিও বার্তা দিলেন মোদী। আর সেই বার্তায় আগামী রবিবারের জন্য এক বিশেষ বার্তা দিলেন। এর আগে এরকমই এক রবিবার জনতা কার্ফুর দিন ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে তালি বাজিয়ে বা থালা বাজিয়ে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের উৎসাহিত করার কথা বলেছিলেন।
এবার তিনি বললেন, আগামী ৫ এপ্রিল ঠিক রাত ৯টায় ৯ মিনিট সময় চাই আপনাদের কাছে।’ বলেন, ঠিক রাত ৯ টায় ঘরের সব আলো নিভিয়ে জানালা বা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে প্রদীপ জ্বালাতে হবে অথবা মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালাতে হবে।
এইভাবে দেশবাসীকে ঐক্যের বার্তা দিতে চেয়েছেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, ‘অনেকে হয়ত ভাবছেন আমার একার লড়াইতে কী হবে।’ আসলে যে কেউ একা নয়, গোটা দেশ একসঙ্গে লড়াই করছে সেই বার্তা দিতেই এমন ঘোষণা করেছেন মোদী।
তবে একইসঙ্গে তিনি সাবধান করে দিয়েছেন যাতে ওই দিন কোনও জমায়েত না হয়। কেউ যেন একসঙ্গে না থাকে। প্রত্যেকে একা একা একবার ভারতমায়ের কথা যাতে চিন্তা করে, সেকথা বলেছেন তিনি। ১৩০ কোটি ভারতবাসীর কথা মনে করার জন্যই ওই সময়টা বেছে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন তিনি আরও বলেন, ‘এতে আমাদের জয়ের আত্মবিশ্বাস আসবে। লড়াইয়ের শক্তি আসবে।’ সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ”এই কয়েকদিনে আপনারা যেভাবে সাহায্য করেছেন তা অভূতপূর্ব। এই লড়াই সফল করার জন্য সাধারণ মানুষ ও প্রশাসন ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করেছে। বিশ্বের অনেক দেশ আজ আমাদের পথে হাঁটার চেষ্টা করছে।”
এর আগে জনতা কার্ফুর দিন সবাইকে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে তালি দিয়ে সেইসব মানুষকে অভিনন্দন জানাতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, যারা নিজের প্রাণের ভয় না করে করোনা মোকাবিলায় সাহায্য করে যাচ্ছেন। তাঁর সেই কথায় সাড়া দিয়ে বহু মানুষ সেদিন তালি বাজিয়ে, থালি বাজিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছিল। সেই পথে হেঁটে ব্রিটেনেও একই দৃশ্য দেখা যায় কিছুদিন পর। সেখানেও ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে চিকিৎসকদের অভিনন্দন জানান মানুষ।
এদিন মোদীর প্রদীপ জ্বালানোর বার্তায় সমালোচনার মুখে পড়তে পারেন তিনি। বিরোধীরা এই ভাষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই পারে। তবে একাংশের মতে, দেশের মানুষকে লড়াইতে একজোট করতে এটাই মোদীর সেরা সিদ্ধান্ত।