রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

জোটের কথা চলাকালীনই আলিপুরদুয়ারের কংগ্রেস-সিপিএম-এ দূরত্ব? জোড় জল্পনা

February 6, 2021 | 2 min read

আলিপুরদুয়ারের প্রবীণ কংগ্রেসনেতা দেবপ্রসাদ রায় (মিঠু) কি কংগ্রেস (Congress) ছেড়ে তৃণমূলে যেতে পারেন? উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে ক্রমশ জোরাল হচ্ছে এই জল্পনা। তাঁর কাছে কি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রস্তাব এসেছে, সরাসরি প্রশ্ন করা হলে দেবপ্রসাদ এড়িয়ে গিয়েছেন।

প্রবীণ কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, ‘তাঁর অবস্থানগত বদল হতেই পারে। যেহেতু একটা প্ররোচনা এসেছে, আর সেটা নিয়ে কেউ কিছু বলছেনও না।

যে ‘প্ররোচনা’র কথা দেবপ্রসাদ বলছেন, তা এসেছে স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের তরফে। তাদের ভূমিকায় তিনি যে প্রবল ক্ষুব্ধ, তা গোপন করেননি দেবপ্রসাদ।

গত ২২ জানুয়ারি আলিপুরদুয়ারের জেলা সিপিএম সম্পাদক মৃণালকান্তি রায় প্রকাশ্যেই বলেছেন, দেবপ্রসাদ এ বার আলিপুরদুয়ারে বিরোধী জোটের প্রার্থী হলে তাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে কাজ করবেন। গতবারের ভোটে তিনি নাকি কংগ্রেসের প্রার্থীকে তলে তলে হারানোর কাজ করেছিলেন! তৃণমূলের সৌরভ চক্রবর্তীকে জেতানোর পিছনে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন ! অথচ কংগ্রেসের প্রার্থী নিজেও তেমন কোনও অভিযোগ করেননি।

বস্তুত, গত ৫৭ বছর ধরে দেবপ্রসাদ নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কংগ্রেস রাজনীতিই করছেন। ১৯৭০ সালে শিক্ষকতার চাকরি ছেড়ে দলের সর্বক্ষণের কর্মী হয়েছিলেন। আগে দিল্লিতে সর্বভারতীয় স্তরে কাজ করলেও এখন ‘জলপাইগুড়ির ভূমিপুত্র’ রাজ্যের রাজনীতিতেই সম্পৃক্ত। ২০০৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত তিনি ছিলেন জলপাইগুড়ির কংগ্রেস বিধায়ক। ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক। ২০১৬ সালে তিনি ভোটে দাঁড়াননি।

তাঁর ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, তখন তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা ঘোষণার অব্যবহিত আগে তাঁকে ফোন করে আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সুব্রত বক্সি। কিন্তু তিনি রাজি হননি। গত লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের একটি জেলাতেও তৃণমূল খাতা খুলতে না পারায় বিধানসভা ভোট (West Bengal Assembly Election 2021) তাদের কাছে কঠিন পরীক্ষা হয়ে দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেবপ্রসাদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তৃণমূলের কাছে। যিনি আবার ইতিমধ্যেই ‘প্ররোচিত’।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#alipurduar, #CPM

আরো দেখুন