করোনা ভ্যাকসিনের জন্য শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের তালিকা তৈরি শুরু প্রশাসনের
করোনা ভ্যাকসিন(Corona Vaccine) দেওয়ার জন্য স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের(Teachers) নামের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে দিল রাজ্য প্রশাসন(GovtOfWestBengal)। পূর্ব বর্ধমান(Purba Burdwan) জেলার ডিআই অফিস থেকে তাদের অধীনে সব স্কুল ও মাদ্রাসাগুলিকে নামের তালিকা তৈরি করতে বলেছে।
এখনও পর্যন্ত রাজ্যের অন্য জেলাগুলিতে এমন উদ্যোগ না-নেওয়া হলেও এই প্রশাসনিক উদ্যোগ নিয়ে স্বস্তি এবং অস্বস্তি দু’টিই কাজ করছে। শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের একটি অংশ এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসতে খুশি হয়েছেন। কারণ, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ১১ মাস বন্ধ থাকার পর স্কুল খুলছে। তার পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এই কাজে শিক্ষকদের একটা বড় অংশকে রাজ্যের নানা প্রান্তে ঘুরতে হবে। ফলে রাস্তায় নেমে কাজ করার আগে গৃহবন্দি শিক্ষকদের একটি অংশ নিজেদের করোনাযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ারও দাবি করেছেন।
আবার রাজ্যের সর্বত্র এই নির্দেশ না-থাকায় বাকি শিক্ষক মহলে অস্বস্তিও রয়েছে। কবে থেকে শিক্ষকদের টিকাকরণের প্রক্রিয়া হবে, তা অবশ্য পরিষ্কার নয়।
পূর্ব বর্ধমান জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইনস্পেক্টর বা ডিআই-এর তরফে অধীনে স্কুল এবং মাদ্রাসাগুলির কাছে দিন দুয়েক আগে একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি ও এক্সেল শিট পৌঁছেছে। পূর্ব বর্ধমানের গলসি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ইতিমধ্যেই আমরা আমাদের সহকর্মীদের নাম, বয়স, সে কোথায় থাকে, কোথায় টিকা নিতে চান, স্কুলেই নেবেন নাকি যেখানে থাকেন সেখানে- এ রকম যে যে তথ্য চাওয়া হয়েছিল, তা জোগাড় করতে শুরু করেছি।’ এই বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য পাঠানোর জন্য পাঁচ দিন সময় দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিকে।
এই বিজ্ঞপ্তিটি জরুরি ভিত্তিতে বিবেচনা করার কথা বলা হয়েছে। সূত্রে খবর, ওই জেলায় ৭০০-র বেশি স্কুল-মাদ্রাসা মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী রয়েছেন। জেলার ডিআই শ্রীধর প্রামাণিক বলেন, ‘ভ্যাকসিন কবে দেওয়া হবে, সে কথা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়নি। সেটা তো স্বাস্থ্য দপ্তরের কাজ। কিন্তু আমরা তালিকা তৈরি করে রাখছি।’ জেলার একাধিক স্কুল থেকে ইতিমধ্যে ভ্যাকসিনপ্রাপক শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের নাম ডিআই অফিসে জমাও পড়েছে বলে সূত্রের খবর।