মেখলিগঞ্জের শিল্পহাব উত্তরবঙ্গের মানচিত্রে এক নতুন দিশা
কয়েকদিনের মধ্যেই ভোটের তারিখ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। তাই অতি দ্রুততার সাথে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির শিলান্যাস সেরে ফেলতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। সোমবার সেই তালিকায় সবচেয়ে বড় সংযোজন কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে (Mekhliganj) ৪,০০০ কোটি টাকার মেগা শিল্প হাব।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে (Netaji Indoor Stadium) সেটির ভার্চুয়াল শিলান্যাস করেন। একই সঙ্গে তুফানগঞ্জ মেখলা উৎপাদন কেন্দ্রের জন্যে তিন কোটি টাকা, জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়িতে ৪০০ কোটি টাকার শিল্প পার্ক তৈরির ঘোষণাও করেন।
জয়ী সেতুর পর এবার উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় শিল্প হাব হতে যাচ্ছে মেখলিগঞ্জে। মুখ্যমন্ত্রী বিনিয়োগকারীদের কাছে এখানে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। কোচবিহার জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর মেখলিগঞ্জ জয়ী সেতু সংলগ্ন সরকারি তিনশো একর জমিতে প্রাথমিক ভাবে এই শিল্প হাব গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যার পরিমাণ পরে আরো বাড়তে পারে।
পশ্চিমবঙ্গ শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগম এই কাজ করবে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, লজিস্টিক পার্ক ও ডিসট্রিক্ট এক্সপোর্ট হাব থাকবে এখানে। ফলে এখানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে প্রায় ৬০,০০০ কর্ম সংস্থানের সুযোগ ও সম্ভবনা রয়েছে। যার ফলে কোচবিহার জেলা সহ আশেপাশের এলাকায় সার্বিক উন্নয়ন ঘটবে।
জয়ী সেতু সংলগ্ন বিশাল এলাকার সরকারি জমিতে শিল্প হাব গড়ে তোলার পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল। ইতিমধ্যেই জয়ীসেতু তৈরি হওয়ায় এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। পাশাপাশি অদূরে চ্যাংরাবান্দায় সীমান্ত স্থাল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পণ্য পরিবহনের সুযোগ রয়েছে। জয়ী সেতু চালু হওয়ার ফলে মেখলিগঞ্জ থেকে হলদিবাড়ি হয়ে বাগডোগরা বিমানবন্দরের সাথে যোগাযোগও সহজ হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও এনজিপিতে ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো তৈরি হওয়ায় এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব থেকে ভিনরাজ্য সহ বিভিন্ন জায়গায় পণ্য পরিবহন অনেক সহজ হয়ে যাবে। এই সমস্ত পরিকাঠামোগত সুবিধের কারণে এখানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব গড়ে তোলার পরিকল্পনা করে সরকার।
যারা প্রপোজালে বিড করতে চান আগ্রহীদের কাছ থেকে বিড আহ্বান করা হয়েছে। শিল্প হাবের আলাদা আলাদা সেক্টরের জন্যে আলাদা আলাদা বিড করা যাবে। কারণ এতোবড় প্রকল্পের জন্য একটি কোম্পানির পক্ষে বিড করা সম্ভব নাও হতে পারে। এই কমপ্লেক্সেই ফুড পার্ক, টি পার্ক, জুট পার্ক, হ্যান্ডলুম, পাওয়ারলুম পার্ক, ক্র্যাফট পার্ক, আগ্রোবেসড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ইত্যাদি থাকবে। অল্প কছুদিনের মধ্যেই প্রশাসনিক সভা ডেকে সমস্ত পরিকল্পনা চুড়ান্ত করা হবে।