ঝাড়গ্রামের সভায় হয়নি লোক, মঞ্চেই উঠলেন না নাড্ডা

এদিন লালগড়ের ভিলেজ ময়দানে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পরিবর্তন যাত্রার সূচনা সভাতেও ভিড় তেমন জমেনি।

February 10, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

মঙ্গলবার বিজেপির(BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা(JP Nadda) তারাপীঠ ও লালগড়ে ‘পরিবর্তন যাত্রার’(Paribartan Jatra) সূচনা করলেন। কিন্তু  মাঠ ভরা অনেক দূরের কথা, কোনও সভাতেই ভিড় হল না। এদিন ঝাড়গ্রাম(Jhargram) শহরে জে পি নাড্ডার সভার জন্য আরবিএম স্কুলের সামনে মঞ্চ বাঁধা হয়েছিল। তার জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে প্রচারও চালানো হয়। কিন্তু সন্ধ্যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি যখন শহরে ঢুকলেন, তখন মঞ্চস্থলের আশপাশে হাতেগোনা কয়েকজন রয়েছেন। সভাস্থলের অবস্থা দেখে নাড্ডা সোজা জেলা অফিসে চলে যান। সেখান তিনি দলীয় নেতৃত্বের কাছে এর জন্য উষ্মাও প্রকাশ করেন। তারপরই খড়্গপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। সভা বাতিলের ঘটনায় ঝাড়গ্রাম শহরে হইচই পড়ে গিয়েছে।
ঝাড়গ্রাম শহরে দলের ঘোষিত সভা বাতিলের কথা স্বীকার করেছেন বিজেপির সাংসদ কুনার হেমব্রম(Kunar Hembrom) । তিনি বলেন, নাড্ডাজির ঝাড়গ্রামে আসতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। আমরা ভেবেছিলাম, শহরের মানুষকে নিয়েই এই সভার আয়োজন করা হবে। কিন্তু, দেরি হয়ে যাওয়ায় শহরের মানুষ চলে গিয়েছিলেন। আর রাত হয়ে যাওয়ায় নিরাপত্তারক্ষীরাও আপত্তি জানাচ্ছিলেন। তাই সভা বাতিল করা হয়েছে।  


এদিন লালগড়ের ভিলেজ ময়দানে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পরিবর্তন যাত্রার সূচনা সভাতেও ভিড় তেমন জমেনি। ভাষণের শুরুতে ও মাঝপর্বে অনেককে সভাস্থল ছেড়ে উঠে যেতেও দেখা গিয়েছে। এদিনেই ঝাড়গ্রামের জামদা সার্কাস ময়দানে মুণ্ডা সমাজের বিশাল সমাবেশ ছিল। সেখানে অনেক বেশি মানুষ ভিড় জমিয়ে ছিলেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির ঝাড়গ্রাম সফরের দিনেই মুণ্ডা সমাজের এমন বিশাল সমাবেশ নিয়ে চর্চাও শুরু হয়েছে।
তারাপীঠের সভাতেও তেমন ভিড় না হওয়ায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, মাত্র হাজার খানেক লোক নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ‘পরিবর্তন যাত্রা’র সূচনা করেছেন। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, বিজেপির ডাকে মানুষ কতটা সাড়া দিচ্ছে! 
এদিন তারাপীঠের চিলার মাঠের সভায় নাড্ডা বলেন, প্রধানমন্ত্রী খালি হাতে আসেন না। তিনি বাংলার বিকাশ করবেন বলে বারবার আসেন। হলদিয়াতেও সেই কারণেই এসেছিলেন। করোনাকালে মার্চ মাস থেকে দুর্গাপুজো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার দেশের মানুষকে চাল, গম, ডাল দিয়েছে। আর এই বাংলায় সেই সব সামগ্রী গরিবদের ঘরে নয়, তৃণমূলের ঘরে ঢুকেছে। এদিন তিনি তৃণমূলকে চালচোর, উম-পুনের ত্রিপল চোর বলেও কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি আরও বলেন, এরাজ্যে মহিলাদের উপর অত্যাচার বেশি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নামের সঙ্গে যে কয়েকটি ‘বিশেষণ’ যোগ করেছেন, সেকথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে নাড্ডা প্রশ্ন তোলেন, এই কি বাংলার সংস্কৃতি? তিনি বলেন, দু’দিন আগে মেদিনীপুরে ভাইপোও যে ভাষায় কথা বলেছেন, তাতে বাংলা কলঙ্কিত হয়েছে। এটা বাইরের সংস্কৃতি। এখানে তুষ্টিকরণ, জবরদস্তি, তোলাবাজি চলছে। জবান কো সামাল দো ভাইপো। আমি ডায়মন্ডহারবারে যাব। দেখিয়ে দেব কত মানুষ সেখানে জড়ো হয়।
এদিন লালগড়ে প্রায় ২০ মিনিট বক্তব্য রাখেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। সেখানে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, মা মাটি মানুষের নামে সরকার চলছে, অথচ এই সরকার মাকে সম্মান দিতে জানে না। বাংলার সংস্কৃতি আগে জানতে হবে। এরা সেই সংস্কৃতিকে নষ্ট করছে। এই রাজ্যে ভ্রষ্টাচার চালাচ্ছেন মমতা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen