এবারে গ্লাভ্স পরে দিতে হবে ভোট?
ভোটযন্ত্রের বোতাম থেকেও ছড়াতে পারে সংক্রমণ। সতর্কতায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না নির্বাচন কমিশন(Election Commission Of India)। করোনা(COVID 19) পরিস্থিতিতে ডান হাতে গ্লাভস(Gloves) পরেই দিতে হবে ভোট(Vote)। এর জন্য সাড়ে সাত কোটি গ্লাভসের অর্ডার দিচ্ছে কমিশন। রাজ্যে(West Bengal) এবার মোট ভোটার ৭ কোটি ৩২ লক্ষ। বুথে ঢোকার মুখে প্রত্যেক ভোটার ওই গ্লাভস পাবেন। গ্লাভসটি ‘ইউজ অ্যান্ড থ্রো’। এক জন ভোটকর্মী বুথের গেটে বসে স্যানিটাইজার দেবেন, থার্মাল গান দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করবেন এবং ভোটারদের গ্লাভস তুলে দেবেন। ভোটাররা ডান হাতে সেটি পরে বুথে ঢুকবেন। ভোট দিয়ে এসে বুথের বাইরে থাকা বক্সে সেই গ্লাভস ফেলে দিতে হবে। পরে সাফাইকর্মীরা সেই ওয়েস্টবক্স নিয়ে যাবেন। যত্রতত্র গ্লাভস ফেলা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গের ভোটের ইতিহাসে একেবারে নতুন ঘটনা।
তবে ভোটারদের বা হাত ফাঁকা থাকবে। বা হাতের আঙুলে ভোটের কালি লাগানো হবে। এবারের ভোটে মাস্ক, স্যানিটাইজার, থার্মাল গান এবং ফেসশিল্ড ব্যবহৃত হবে। স্বাস্থ্যদপ্তর এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এগুলির জোগান দেবে। প্রত্যেক ভোটকর্মীকে মাস্ক, ফেসশিল্ড দেওয়া হবে। বুথগুলিকে জীবাণুমুক্ত করা হবে। ভোটারদের বুথে ঢোকার আগে স্যানিটাইাজার দেওয়া হবে। এসবের জোগানের জন্য নির্বাচন কমিশন স্বাস্থ্যদপ্তর এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পদপ্তরের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। ওই দু’টি দপ্তরকে এই সব জোগান দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারাও টেন্ডার করে অর্ডার দিয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। ভোটারদের গ্লাভস দেওয়া সহ বিভিন্ন কাজের জন্য এবার বাড়তি ভোটকর্মী থাকবে বুথে। এর জন্য ভোটকর্মীর সংখ্যাও বাড়বে। তাই অতিরিক্ত ভোটকর্মী যোগানের জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদেরও ভোটকর্মী হিসেবে নিযুক্ত করা হবে। তাঁদের শরীর পরীক্ষা করা হবে। করোনার কারণে এবার বাড়তি কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে কমিশন। সেইসব পদক্ষেপের কথা জেলাশাসকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে জেলাশাসকদের সঙ্গে ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। ১৫ ফেব্রুয়ারির পরে যে-কোনও দিন ভোট ঘোষণা হতে পারে বলে কমিশনের অফিসারদের অনুমান। সেইমতো সকলকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।