বিশ্ব রেডিও দিবস – বেতার তরঙ্গ আজও বয়ে চলেছে আপন ছন্দে
‘আমি সুভাষ বলছি’ – বার্লিন থেকে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে নেতাজির সেই ভাষণ। আজও সেই নস্ট্যালিজিয়ায় উদ্বেলিত হয় বাঙালি মন। মাধ্যম ছিল রেডিও।
আজ বিশ্ব রেডিও দিবস। বেতার তরঙ্গে সুদূর প্রান্তকে জোড়ার এই গণমাধ্যমের আবিষ্কারের সঙ্গে অনেক বিজ্ঞানীর নাম জড়িয়ে থাকলেও রেডিওর আবিষ্কর্তা হিসেবে ইতালীয় বিজ্ঞানী গুয়েলমো মার্কনির নামই সর্বাগ্রে নেওয়া হয়। কারণ, বিংশ শতকে তিনিই প্রথম দূরের সংযোগকে বেতার তরঙ্গে জুড়েছিলেন।
রেডিওকে স্যালুট জানাতে ২০১১ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারিকে বিশ্ব রেডিও দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। এই দিনটিকে বাছা হয়েছিল কারণ, ১৯৪৬ সালে এই দিনেই রাষ্ট্রপুঞ্জ রেডিও প্রথম আন্তর্জাতিক সম্প্রচার করেছিল। স্পেনের রেডিও অ্যাকাডেমি ২০১০ সালে প্রথম ১৩ ফেব্রুয়ারিকে বিশ্ব রেডিও দিবস হিসেবে উদযাপন করার পরিকল্পনা করেছিল। তারপর ২০১১ সালে ইউনেস্কো ১৩ ফেব্রুয়ারিকে বিশ্ব রেডিও দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯২৩ সালে ভারতে প্রথম রেডিওয় বিজ্ঞাপন শুনতে পান মানুষজন। ১৯৪১ সালে সুভাষচন্দ্র বসু জার্মানি থেকে রেডিওর মাধ্যমেই দেশবাসীর কাছে তাঁর বার্তা পাঠান। বর্তমানে আকাশবানী ভবন এমন বহু ইতিহাসের সাক্ষী। ইদানীং ক্রমেই বেসরকারি সংস্থাগুলিও রেডিওর সম্প্রচারের আদল বদলে ফেলেছে। তবে বেতার তরঙ্গ আজও বয়ে চলেছে আপন ছন্দে।