মুদিখানার পণ্য ডেলিভারি দেবে স্যুইগি, জোম্যাটো, স্ন্যাপডিল
দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার ফলে বন্ধ রয়েছে অনেক রেস্তোরাঁ। গৃহবন্দি হওয়ার কারণে বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করাও অনেক কমে গিয়েছে। ফলে, জোম্যাটো, স্যুইগির মতো অ্যাপ-নির্ভর ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলির ব্যবসা মার খাচ্ছে। ব্যবসায় বদল আনতে ওই সংস্থাগুলি এখন বাড়ি বাড়ি শাক-সবজি, মুদিখানার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া শুরু করেছে।
বাজার-দোকানপাট খোলা থাকলেও বাড়ির বাইরে বেরোনোর ঝুঁকি নিতে না চাইলে আপনি এখন জোম্যাটো, স্যুইগি, স্ন্যাপডিলের মাধ্যমেই অর্ডার করে শাক-সবজি, মুদিখানার সামগ্রী বাড়িতেই আনিয়ে নিতে পারেন। বিগবাস্কেট, গ্রোফার্সের মতো সংস্থার দৌলতে অনলাইনে মুদিখানার জিনিস কেনার প্রবণতা ইতিমধ্যেই বাড়ছে।
‘জোম্যাটো মার্কেট’
‘জোম্যাটো মার্কেট’ অ্যাপের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে বাড়ি বাড়ি মুদিখানার সামগ্রী পৌঁছে দিতে শুরু করেছে সংস্থাটি। এই তালিকায় জোম্যাটোর প্রতিদ্বন্দ্বী স্যুইগিও রয়েছে। গত বছর ক্রেতাদের বাড়িতে মুদিখানার পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য ‘স্যুইগি স্টোর্স’ পরিষেবা শুরু করে স্যুইগি। তবে, এখনও পুরোদস্তুর পরিষেবা শুরু করেনি জোম্যাটো মার্কেট। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রেতাদের অনুসন্ধানের উপর ভিত্তি করে বর্তমানে দিল্লি, গুরুগ্রাম, চেন্নাই, কোচি প্রভৃতি শহরে পরীক্ষামূলক পরিষেবা শুরু করেছে সংস্থাটি। কলকাতা, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ বা পুনের মতো শহরে এখনও পরিষেবা শুরু করেনি জোম্যাটো মার্কেট।
জোম্যাটোর এই নতুন পরিষেবা স্থানীয় প্রশাসনের নিয়ম কানুনের উপর নির্ভরশীল। যেমন, চেন্নাইয়ে জোম্যাটো মার্কেট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র ৪ ঘণ্টা কাজ করতে পারে। সংস্থার তরফে ক্রেতাদের প্রশ্নের উত্তরে জোম্যাটো জানিয়েছে, রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, চেন্নাইয়ে সকাল ৭টা থেকে ৯টা এবং দুপুর ১২টা থেকে ২টো পর্যন্ত পরিষেবা দেওয়া হয়।
স্ন্যাপডিল
এর মধ্যে দেশের ৯৬টি শহরে তাদের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ পরিষেবা ফের শুরু করেছে ভারতীয় অনলাইন বিপণন সংস্থা স্ন্যাপডিল। এর জন্য স্থানীয় মুদিখানার দোকানগুলিকে তালিকাভুক্ত করা শুরু করেছে সংস্থাটি। ডেলিভারির ক্ষেত্রে আন্তঃরাজ্য পরিষেবা শুরু করেছে সংস্থাটি। সেই তালিকায় আগ্রা, ভূপাল, দেরাদুন, জলন্ধর, রায়পুর, সুরাটের মতো শহর রয়েছে। ডাল, নুন, চিনির মতো পণ্য সরবরাহের জন্য স্থানীয় কৃষি বাজারগুলিকেও তালিকায় যোগ করেছে স্ন্যাপডিল।