রুপার মুখে ‘ধর্ষণশ্রী’! – বেফাঁস মন্তব্যে নিন্দার ঝড়, মুখ লুকাচ্ছে গেরুয়া শিবির
বঙ্গ বিজেপির মহিলা মোর্চার(BJP Mahila Morcha) প্রাক্তন নেত্রী তিনি। বর্তমানে দলেরই রাজ্যসভার সাংসদ। কিন্তু তাঁর দেখা মেলেনা কোথাও। এমনকি রাজ্য বিজেপির (BENGAL BJP)নেতারা হাজারবার চাইলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে পারেন না। তাঁকে না পাওয়া যায় দলের সভায়, না পাওয়া যায় কোনও মিছিলে বা কর্মসূচীতে। কলকাতা হোক কী দিল্লী দলের কোনও বৈঠকেও আমন্ত্রণও পাননা তিনি। তাই দলেই নানা সময়ে প্রশ্ন উঠে যায়, ‘পাঞ্চালী কি আদৌ আছেন দলে?’ সেই প্রশ্নের মুখে পড়ে কার্যত বিড়াম্বনায় পড়ে যান দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে এবার দলের নির্দেশে রথে সওয়ার হয়ে দলকেই বিপাকে ফেলে দিয়েছেন ‘দ্রৌপদী’। বিজেপির ‘পরিবর্তন’ যাত্রায় (Paribartan Jatra)বেফাঁস মন্তব্য শোনা গেল রূপা গাঙ্গুলীর মুখে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বীরভূমের তারাপীঠে এসে দলের পরিবর্তনযাত্রা বা রথযাত্রার উদ্বোধন করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্বোধনের দিনে সেই কর্মসূচীতে থাকার কথা ছিল রূপা গাঙ্গুলীর(Roopa Ganguly)। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে তাঁকে সেই কর্মসূচীতে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু নাড্ডার কর্মসূচীতে দেখা মেলেনি রূপার। এরপরেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রূপার ওপরে ‘চাপ’ তৈরি করেন। তাঁকে সটান কাজে নামতে বলা হয়। এরপরেই শুক্রবার বীরভূম জেলার ইলামবাজারে বিজেপির রথে সওয়ার হন রূপা। যেখানে যেখানে রথ দাঁড়াচ্ছে, সেখানে সমাবেশে বক্তৃতা করাই তাঁর কাজ।
আর এই বক্তৃতা করতে গিয়ে রূপা এমনই বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন যা শুধু দলকেই অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে তাই নয়, ক্ষুব্ধ সঙ্ঘও। ইলামবাজারে বক্তব্য রাখার সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে রূপা বলেন, ‘এই সরকার রাজ্যের যেখানেই নারী নির্যাতন হয়, সেখানেই টাকা দিয়ে রেহাই পেতে চায়। এই সরকার চারিদিকে ‘শ্রী’ তে ‘শ্রী’ তে ভরিয়ে দিয়েছে। তাঁদের কাছে জানতে চাই ‘ধর্ষণশ্রী’ তে কত টাকা খরচ করেছো?’ রূপার এই মন্তব্য এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। একজন জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রীর মুখে এই কথা শুনে ক্ষুব্ধ রাজ্যের বিশিষ্টজনদের পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষ। ক্ষোভ ছড়িয়েছে আমজনতা থেকে মহিলামহলেও। আর তার জেরেই চরম অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। ভোটের মুখে এমন বেআক্কেলে মন্তব্যে ক্ষুব্ধ সঙ্ঘও।