রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বন্ধ কেন্দ্রীয় প্রকল্প, কাজ হারানো কর্মীদের নিয়োগে করবে রাজ্য

February 15, 2021 | 2 min read

দু’টি কেন্দ্রীয় প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় সাড়ে চারশো শিক্ষিত তরুণ-তরুণী কাজ হারিয়েছেন। এঁদের ফের কাজ ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। রাজ্য কৃষিদপ্তরের অধীনে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কাজ করতেন এঁরা। কৃষিদপ্তর এই কর্মীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করার অনুমোদন চেয়ে অর্থদপ্তরের কাছে ফাইল পাঠিয়েছে। কৃষিদপ্তরের (Agriculture Department) এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, অর্থদপ্তর প্রস্তাব অনুমোদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাজ্যের কৃষি জমির মাটি পরীক্ষার কাজ গত এক বছরের বেশি সময় ধরে কার্যত বন্ধ। মাটি পরীক্ষার এই প্রকল্পে বিজ্ঞানে স্নাতক, এমনকী স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী মোট ১৩৩ জন ল্যাবরেটরি টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতেন। প্রায় পাঁচ বছর ধরে কাজ করার পর গত বছরের জানুয়ারি থেকে এঁরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। কেন্দ্রীয় প্রকল্পটি (Central Project) বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কৃষিদপ্তর রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কৃষি জমির মাটি পরীক্ষা শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছে। মাটি পরীক্ষার জন্য রাজ্যের ১৩টি ল্যাবরেটরি চালু অবস্থায় রয়েছে। আরও ৫টি যে কোনও সময় চালু করে দেওয়া যায়। কিন্তু কর্মীর অভাবে এখন ল্যাবরেটরিগুলির যথাযথ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কিছু মাটির নমুনা বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হলেও তার সংখ্যা খুবই কম।

কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প ‘ন্যাশানল মিশন ফর সাসটেনেবল এগ্রিকালচার’-এর অধীনে মাটি পরীক্ষার কাজ হতো। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এর আর্থিক দায় নিত। কিন্তু পরে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, প্রতি ব্লকে একটি করে ‘জৈব গ্রাম’ গড়ে তোলা হবে। সেখানেই শুধু মাটি পরীক্ষা করা হবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে। রাজ্য সরকার এতে রাজি হয়নি। কারণ তাতে রাজ্যের খুব কম সংখ্যক গ্রামে মাটি পরীক্ষা করা যেত। মাটি পরীক্ষার অধীনে সব গ্রামকে আনতে চাইছে রাজ্য।

অন্যদিকে, কৃষিদপ্তরের অধীনে চলা কেন্দ্রীয় প্রকল্প ‘ইন্টিগ্রেটেড ওয়াটারশেড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাজ হারিয়েছেন মোট ২৯৯ জন। ২০১১-১২ আর্থিক বছরে প্রকল্পটি শুরু হয়। রাজ্যের শুখা এলাকায় জল সংরক্ষণের উদ্দেশে প্রকল্পটির কাজ হতো। পরবর্তীকালে ‘প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনার’ আওতায় আসে এটি। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মোট ১২১টি কাজ হচ্ছিল। দুই দফায় ২০১৯ সালেই কাজগুলি শেষ হয়ে যায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আর অনুমোদন মেলেনি। সেই থেকে কর্মীরা কর্মহীন অবস্থায় আছেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) জানিয়েছেন, দুটি প্রকল্পের কর্মীদের কাজের ব্যবস্থা করার জন্য তাঁরা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে অনুরোধ করেছিলেন। এতে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Mamata Banerjee, #central government, #Agriculture Department

আরো দেখুন