খাস কলকাতায় শিশু এবং বয়স্ক নাগরিকদের জন্য রুফটপ পার্ক
বেজে গিয়েছে বিধানসভা ভোটের দামামা। জমে উঠেছে শাসকদল ও বিরোধীদের লড়াই। জনগণের মন জয় করতে নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে হাজির শাসক-বিরোধী দুপক্ষই। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় শহরের বুকে বানানো হয়েছে একটি রুফটপ পার্ক। শিশুদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে নতুন পার্কের দরজা। পাম্পিং স্টেশনের মাথায় তৈরি হয়েছে ৮০০০ স্কোয়ার ফিটের গ্রিন গার্ডেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি নামে পার্কের নাম রাখা হয়েছে এ পি জে আব্দুল কালাম পার্ক।
কলকাতা পুরসভার ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে পরিস্রুত পানীয় জল যেত এলাকার জি জে খান পাম্পিং স্টেশন থেকে। উদ্বোধন করেছিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভার সহায়তায় এইবার ভোটের আগে সেই পাম্পিং স্টেশনের মাথাতেই তৈরি হয়েছে পার্ক।
এলাকার বিধায়ক জাভেদ খান এবং কো-অর্ডিনেটর ফাইয়াজ আহমেদ খান এর উদ্যোগে কলকাতা কর্পোরেশনের সহায়তায় এলাকার শিশু এবং বয়স্ক নাগরিকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে এই গার্ডেন এবং চিলড্রেন’স পার্ক। উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মুখ্য পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম-সহ (Firhad Hakim) সাংসদ মালা রায় (Mala Roy)।
পার্ক নিয়ে মন্ত্রী জাভেদ খান জানিয়েছেন, বাগানের সব প্রকার ফুল গাছের চারা লাগানো হলোও গেরুয়া রংয়ের কোনও ফুল লাগানো হবে না। তিনি বলেছেন, গাঁদা ফুলের তো কোন গন্ধ নেই, আর তাড়াতাড়ি মরেও যায়। সবুজায়নে গাঁদা ফুলটা ঠিক ফোটে না। দেখতেও ভালো লাগে না। আর পদ্ম জাতীয় ফুল হলেও জায়গা নেই বাগানে।
সৌন্দর্যায়ন এবং উন্নয়ন এই দুই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই এবার ভোটে এগোতে চাইছে শাসকদল তৃণমূল। ছাদের ওপর আস্ত একটা পার্ক তৈরি করে দিয়েছে পুরসভা। গার্ডেনে সব ফুল ফুটলেও ব্রাত্য গাঁদা। কারণ তার রঙ গেরুয়া। ফলে উন্নয়নের কাজেও রঙ নিয়ে রাজনীতি চোখে পড়ার মতো।