কোচবিহারে প্রার্থী হওয়া নিয়ে বিজেপিতে তীব্র দ্বন্দ্ব
মাথাভাঙা(Mathabhanga) মহকুমার দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র মাথাভাঙা ও শীতলকুচিতে কারা বিজেপির (BJP)প্রার্থী হবেন, তা নিয়েই জোর জল্পনা চলছে। ইতিমধ্যে দলের জেলা এবং রাজ্য কমিটির একাধিক সদস্য প্রার্থী হওয়ার জন্য নিজেদের বায়োডেটা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। একইসঙ্গে দলের একাংশ যে তাঁদের দিকে রয়েছে সেই বার্তাও কৌশলে রাজ্য নেতাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। দলের সাধারণ কর্মী সমর্থকদের দাবি, এনিয়ে দলের মধ্যে রীতিমতো গোষ্ঠীবাজি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে জেলা পরিষদের প্রাক্তন এক পদাধিকারী এখনও তৃণমূল কংগ্রেসে(TMC) থাকা ওই নেতা দলবদল করে শীতলকুচি(Shitolkuchi) কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন, এমন জল্পনাও শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। যা নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতারাও অস্বস্তিতে আছেন। বিধানসভা ভোটে যত এগিয়ে আসছে, প্রার্থী নিয়ে বিজেপির ভেতরের দ্বন্দ্ব ততই বাড়ছে।
এ ব্যাপারে জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মন(Hemchandra Barman) বলেন, বিজেপি একটি গণতান্ত্রিক দল। দলের যেকোনও কর্মী প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করতেই পারেন। নিজেদের লোকবল দেখিয়ে আমাদের দলে প্রার্থী হওয়া যায় না। দলবদল করে কেউ আসলেই যে প্রার্থী করতে হবে, এমন নিয়মও নেই। তবে এ বিষয়টি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই ঠিক করবে।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, আমাদের প্রার্থী ঠিক করবেন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা। এখানে গ্রুপবাজির কোনও জায়গা নেই। অনেকেই প্রার্থী হতে চান ঠিকই, তবে একজনই তো প্রার্থী হবেন। দলের কর্মী ও নেতারা শৃঙ্খলা মেনে চলেন। তাই আমাদের দলে প্রার্থী হতে না পেরে কেউ দলের বিরুদ্ধে যান না।
বিজেপি দল সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতলকুচিতে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মন ও গত বিধানসভা ভোটের প্রার্থী বরেনচন্দ্র বর্মন। একইসঙ্গে কিষান মোর্চার নেতা যোগেশ বর্মনের নামও রয়েছে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে। তবে আরএসএস ঘনিষ্ঠ এক যুব নেতাও তাঁর বায়োডেটা দলের কাছে জমা দিয়েছেন। ভোটের মুখে এখানে দলবদল করে আসতে পারেন এক তৃণমূল নেতা। বিজেপি দল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নেতা কিছু শর্ত দিয়েছেন। ওসব পূরণ হলেই দলবদল করবেন।