ব্লগার অভিজিৎ রায় খুনে মৃত্যুদণ্ড বাংলাদেশে

মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মহম্মদ মুজিবর রহমান এই রায় দিয়েছেন।

February 17, 2021 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে মর্যাদা দিয়ে ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় পাঁচ অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দিল বাংলাদেশের আদালত। এছাড়া যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে আরও এক অপরাধীকে। মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মহম্মদ মুজিবর রহমান এই রায় দিয়েছেন। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ অপরাধী হল বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান ও বরখাস্ত হওয়া মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক, জঙ্গিনেতা আক্রাম হুসেন ওরফে আবির, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব, মোজাম্মেল হুসাইন এবং আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম। তাদের মধ্যে জিয়াউক হক ও আক্রাম পলাতক। এই মামলায় যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছে শফিউর রহমান ফারাবি। বিচারক তাঁর রায়ে বলেন, ‘স্বাধীনভাবে লেখালেখি ও মতপ্রকাশের জন্যই অভিজিৎ রায়কে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার উদ্দেশ্য হল মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বন্ধ করে দেওয়া। ভবিষ্যতে যাতে কেউ স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ না করতে পারেন।’
এদিন রায় ঘোষণা উপলক্ষে ঢাকার নিরাপত্তা ছিল কঠোর। আদালত চত্বরে বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়। দুপুর ১২টার পর অপরাধীদের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ‘একুশে বইমেলা’ থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে কুপিয়ে খুন করা হয় অভিজিৎ রায়কে। তাঁর স্ত্রী রফিদা আহমেদ বন্যার উপরও হামলা চালায় জঙ্গিরা। তিনি গুরুতর জখম হন। এই ঘটনায় অভিজিতের বাবা তথা অধ্যাপক অজয় রায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ঢাকার শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট ছ’জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে আদালত। এই মামলায় মোট ২৮ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সরকারি আইনজীবী গোলাম সরওয়ার খান বলেন, যে ৬ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে তারা আনসার-আল-ইসলাম জঙ্গি সংগঠনের সদস্য।  

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen